‘সাগরকণ্যা’ পটুয়াখালীর কুয়াকাটাগামী পর্যটকবাহী ও পিকনিকের বাস থেকে তিনটি সেতুতে অতিরিক্ত টোল আদায় হচ্ছে, যার কারণে এ অঞ্চলের পর্যটন খাতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়কের আন্দারমানিক নদীর ওপর শেখ কামাল সেতু, হাজিপুর সোনাতলা নদীর ওপর শেখ জামাল সেতু এবং শিববাড়িয়া নদীর ওপর শেখ রাসেল সেতু থেকে বাড়তি টোল আদায়ে অভিযোগ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
তারা বলছেন, ক্ষেত্রবিশেষে তাদের কাছ থেকে নির্ধারিত টোলে তিন-চারগুণ বেশি আদায় করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে হয়রানি এবং খারাপ ব্যবহার করছেন ইজারাদারের কর্মচারীরা। অনেক ক্ষেত্রে এরকম পরিস্থিতিতে পর্যটকরাও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
তবে তিনটি সেতুর ইজারাদার দাবি করেছেন, বিষয়টি তাদের জানা নেই। তারা এর খোঁজ নেবেন।
পটুয়াখালী জেলা শহর থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ৭৪ কিলোমিটার। কলাপাড়া উপজেলা সদর থেকে কুয়াকাটার ২১ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি নদীর ওপর এই তিনটি সেতু রয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন শেখ জামাল সেতুতে টোল আদায় করে রফিক এন্টারপ্রাইজ, শেখ রাসেল সেতুতে মেসার্স খান ট্রেডার্স এবং শেখ কামাল সেতুতে মেসার্স নাজমুস সায়াদাত ট্রেডার্স।
সপ্তাহের অন্য দিনগুলোর তুলনায় শীত মৌসুমের বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার গড়ে শতাধিক পিকনিকের রিজার্ভ বাস এবং পর্যটকবাহী বাস আসা-যাওয়া করে বলে জানান কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা। এই তিন দিন কুয়াটার পর্যটন অন্য দিনগুলোর তুলনায় বেশি চাঙ্গা থাকে।