পরের জায়গা পরের জমি

দেশ রূপান্তর আন্দালিব রাশদী প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:১৭

আবদুল আলীমের কণ্ঠে আবদুল লতিফের সুরের এই লোকগানটি শোনেননি এমন কেউ আমার প্রজন্মে অন্তত নেই। গানের অন্তর্নিহিত দর্শনটি বৈশ্বিক, এই স্বর ও সুর বহন করে আফ্রিকার তুরকানা ও মাসাই জনগোষ্ঠী।


পরের জায়গা পরের জমিন


ঘর বানাইয়া আমি রই


আমি তো সেই ঘরের মালিক নই।।


সেই ঘরখানা যার জমিদারি


আমি পাই না তাহার হুকুমদারি


আমি পাই না জমিদারের দেখা


মনের দুঃখ কারে কই।।


যে ভার গাধা বইতে পারে না


যে সম্পদের ভার কারও গাধা বইতে পারে না, সে সম্পদে তার বৈধ অধিকার নেই। এমনকি রাজার বেলায়ও একই নিয়ম। কোনো ব্যক্তি কিংবা তার গাধা যে পরিমাণ সম্পদের বোঝা বহন করে জঙ্গলাকীর্ণ দুর্গম পথে অবলীলায় এগিয়ে যেতে পারবে, সেটুকুই কেবল বৈধ অধিকার। এর বেশি যার দখলে সে-ই লোভী, সে ব্যক্তিই ঈশ্বরের অপছন্দের এবং মানুষের ঘৃণার। বলাই বাহুল্য, ব্যক্তি কিংবা গাধা বহন করে নিয়ে যেতে পারে কেবল সামান্য পরিমাণ অস্থায়ী সম্পদ। জমি বহন করতে পারে না। জমির নিরঙ্কুশ মালিকানা একান্তই ঈশ্বরের। এতে মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। সম্পদের অধিকার কার এ প্রশ্নের এত সহজ-সরল এবং সর্বজনীন ব্যাখ্যা দ্বিতীয়টি মিলবে না। এর চেয়ে বেশি সম্পদ যখন ব্যক্তির দখলে চলে আসবে, তখনই সংকট দেখা দেবে, তখনই দ্বন্দ্ব তখনই যুদ্ধ। তুরকানাদের এই বিশ্বাস হাজার বছরের। কিন্তু নতুন প্রজন্ম হতবুদ্ধ। এ বিশ্বাস যে আর কাজে লাগছে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us