নাফে নামতে না পেরে চোখে নোনাজল

আজকের পত্রিকা প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৬

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীতীরবর্তী নাইট্যংপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন (৪৩)। আট ভাইয়ের মধ্যে সাতজনের পেশা মাছ ধরা। নাফ নদীতে মাছ ধরেই চলত তাঁদের সংসার। কিন্তু গত সাড়ে পাঁচ বছর এই নদীতে মাছ ধরা বন্ধ।


তাহলে আবুল হোসেনরা টিকে আছেন কীভাবে? মাছ ধরা বন্ধ, কী করছেন এখন—এমন প্রশ্নে আবুল হোসেনের উত্তর, ‘জাইল্লারা মরে গেছি। আরা মাছ দরা ছারা হনো হাম গরি ন পারি। (আমরা জেলেরা মরে গেছি। মাছ ধরা ছাড়া আমরা তো কোনো কাজ পারি না।)’


আসলেই নাফ নদীপারের আবুল হোসেনদের চোখে এখন নোনা জলের ধারা। ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার আগেই নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্ধের চিন্তার শুরু। উদ্দেশ্য মাদক ও চোরাচালানের লাগাম টানা। ওই বছরের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল শুরু হওয়ার পর ৩০ আগস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাস নাফ নদীতে মাছ শিকার বন্ধ ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু এরপর সাড়ে পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই নিষেধাজ্ঞা আর ওঠেনি। সময় না বাড়ালেও কোনো অজানা কারণে মাছ শিকারে নামতে পারছেন না বাংলাদেশি জেলেরা। যদিও মিয়ানমার প্রান্তে ঠিকই তাদের জেলেরা নিয়মিত মাছ আহরণ করছেন নাফ নদী থেকে। শুধু বাংলাদেশিদের জন্যই কড়াকড়ি।


নাফপারের জেলেদের দিন কাটছে তাই নিদারুণ কষ্টে। কেউ পেশা ছেড়ে চেষ্টা করছেন অন্য কিছু করার। শেষ সম্বল ট্রলার বিক্রি করে জীবনযাপনের পন্থাও খুঁজছেন কেউ কেউ। খরচ জোগাতে না পেরে অনেকে ছেলে-মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ করেছেন।


টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলায় নিবন্ধিত জেলে আছেন আড়াই হাজারের বেশি। নাফ নদী বন্ধ রাখলে রোহিঙ্গা আসবে না। মাদক ও চোরাচালান বন্ধ হবে, এ কারণে মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই দুই মাসের আদেশ পরে আর বাড়ানো হয়েছে কি না, কেউ জানে না। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন মাছ ধরা বন্ধ রেখেছে। জেলেদের এই দুরবস্থার নিরসন জরুরি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us