কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপ্রাচীন গুরুদাস কলেজের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্দেশে ‘বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমে সাংবাদিকতার প্রকৃতি’ বিষয়ে কথা বলতে হয় আমাকে সম্প্রতি।
বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অরুনিমা মুখার্জির আমন্ত্রণ খানিকটা কাকতালীয় হলেও শেষ পর্যন্ত উপলক্ষ্যটি মন্দ কাটেনি।
বিশেষ করে আলোচনাটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে, যখন ছাত্রছাত্রীরা সমকালীন সাংবাদিকতার নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে যুক্ত হয়। ভালোলাগে এই ভেবে যে, সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীরাও সমকালীন সাংবাদিকতার ভালোমন্দ নিয়ে ভাবে। বর্তমান নিবন্ধটি সেদিনের আলোচনারই একটি সংক্ষিপ্তসার।
আমার বিশ্বাস, সাংবাদিকতার প্রকৃতি নিয়ে আলোচনার আগে প্রথমে গণমাধ্যম বিষয়টি খোলাসা হওয়া দরকার। কারণ, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যম কেবল সাংবাদিকতা নয়, আরও বহুবিধ কাজ করে। তারা একদিকে যেমন জনজীবনের প্রাত্যহিক ঘটনাবলি ‘ইনফর্ম’ করে, একই সঙ্গে তারা মানুষকে ‘এডুকেট’, ‘এন্টারটেইন’, ‘অ্যাডভারটাইজ’ ও ‘প্রোপাগান্ডা’ করে। শুধু তা-ই নয়, কিছু কিছু গণমাধ্যম পরিকল্পিতভাবে ‘ফেক নিউজ’ বা তৈরি করা খবর প্রচার করে বলেও অভিযোগ কম নেই! এরকম অভিযোগ পুরোটাই অস্বীকার করা যাবে বলে আমারও মনে হয় না।