বড়দের মতো ছোটদেরও ওজন বেড়ে যাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। শিশুদের মেদ বৃদ্ধির ফলে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। থায়রডের সমস্যা ছাড়াও বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে পারে অল্প বয়সেই।
অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া কারণে কোনো কোনো শিশুর ওজন বাড়ে। আবার এমন অনেক শিশু আছে যারা খুব একটা বেশি না খেলেও তাদের ওজন বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে কিছু সাধারণ বিষয় লক্ষ্য রাখলেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। শিশুদের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে যা করবেন-
শরীরচর্চার মধ্যে রাখতে হবে: শিশুদের শরীরচর্চার মধ্যে রাখতে হবে। এজন্য নিয়মিত যোগ ব্যায়াম অভ্যাস বা অন্য যেকোনও বডি অ্যাক্টভিটির মধ্যে রাখতে হবে। এতে শিশুর দেহে বাড়তি মেদ জন্মাবে না।
জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলতে হবে: শিশুদের একেবারেই জাঙ্কফুড দেওয়া যাবে না। জাঙ্কফুডে কোনও রকম পুষ্টিগুণ থাকে না। অথচ এই খাবার খেলে শরীরে সহজেই নানা রোগ বাসা বাধে। জাঙ্কফুডে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট শিশুদের পুষ্টি তো দেয়ই না বরং ওজন বাড়িয়ে দেয়।
সকালের নাশতা খেতে হবে: সকালের খাবার ঠিক করে না খেলেই ওজন বেড়ে যায়। এজন্য শিশুদের অবশ্যই পুষ্টিযুক্ত নাশতা দিতে হবে। সবজি দেওয়া খিচুড়ি, রুটি সবজি বা চিকেন স্যুপও দেওয়া যেতে পারে।
অতিরিক্ত টিভি দেখা এড়িয়ে চলতে হবে: অনেক শিশু আছে লেখাপড়া ছাড়া শুধু টিভি দেখে সময় কাটায়। বিকেলে খেলার সময়তেও টিভি দেখে। বসে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভি দেখা শরীর ও চোখ উভয়ের জন্যই অত্যন্ত ক্ষতিকর। শরীরে কোনও রকম সক্রিয়তা না থাকলে না মোটা হয়ে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে। এ কারণে শিশুদের বেশিক্ষণ টিভি দেখা এড়িয়ে চলতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুম: শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। ঠিক কর ঘুম না হলে শরীরে মেদ বেড়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে প্রতিটি শিশুকে নিয়ম মেনে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমাতেই হবে।