ভারত মহাসাগর লাগোয়া গ্রেট নিকোবর দ্বীপে প্রায় এক হাজার কোটি ডলার খরচ করে একটি ‘ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর’ ও সেই সঙ্গে বিমানবন্দর, টাউনশিপ, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিরাট একটি হাব তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে ভারত সরকার।‘গ্যালাথিয়া বে’ নামে এই ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর বাংলাদেশ ও ভারতসহ পুরো বঙ্গোপসাগরে নৌ-বাণিজ্যের চেহারাই পাল্টে দেবে বলে বলা হচ্ছে। তবে পরিবেশবাদীরা অনেকেই এই মেগা-প্রকল্পে তীব্র আপত্তিও জানাচ্ছেন।
যাবতীয় বিরোধিতা উপেক্ষা করে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ভারত সরকারের বন্দর ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এই ‘গ্যালাথিয়া বে’ প্রকল্পের জন্য ‘এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট’ (আগ্রহপত্র) আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্রে এই মর্মে পরদিন (২৮ জানুয়ারি) বিজ্ঞাপনও প্রকাশিত হয়েছে।
তবে এই ‘গ্যালাথিয়া বে’ প্রকল্প নিয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেছে কিনা তা একেবারেই স্পষ্ট নয়। এই প্রকল্পে ভারতের কলকাতা-হলদিয়া, ভাইজাগ বা চেন্নাই বন্দরের পাশাপাশি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দরও দারুণ লাভবান হবে বলে ভারতীয় কর্মকর্তারা দাবি করছেন, কিন্তু বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে তাদের কথাবার্তা হয়েছে কিনা এই প্রশ্নের উত্তর তারা এড়িয়ে গেছেন।
তা ছাড়া, থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়ার মতো আসিয়ানভুক্ত অনেক দেশেরই এই প্রকল্পটি নিয়ে আপত্তি আছে।সার্বিক ঘটনাপ্রবাহ থেকে স্পষ্ট, ‘গ্যালাথিয়া বে’ ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট বঙ্গোপসাগর-কেন্দ্রিক আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে অচিরেই তীব্র আলোড়ন ফেলতে যাচ্ছে। এই মেগা প্রকল্পের পক্ষে-বিপক্ষে কী যুক্তি, এই প্রতিবেদনে সেটাই দেখার চেষ্টা করা হয়েছে।