ঝগড়া এড়াতে চাইলে অপর পক্ষের কয়েকটা ভঙ্গি খেয়াল করুন।
কারণ রাগলে মানুষের আচরণ পরিবর্তণ হয়।
আর সেটা বোঝার দুটি উপায় আছে বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা, প্রথমত কলহের ধরন আর দ্বিতীয়ত অঙ্গভঙ্গি।
যুক্তরাষ্ট্রের থেরাপিস্ট মেলিসা দিভারিস থম্পসন বলেন, “আলোচনা আর ঝগড়ার মধ্যে পার্থক্যটা প্রথমে বোঝা উচিত। আলোচনায় দুজন মানুষ শান্ত গলায় একে অপরের মত প্রকাশ করে। কিন্তু ঝগড়ায় থাকে উত্তেজনা।”
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “যদি মনে হয় নিজেকে রক্ষা করতে হবে, আত্মপক্ষ সমর্থনের যুক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, তাহলে আপনি ঝগড়া করছেন।”
ঝগড়া শুরু হওয়ার ইঙ্গিত
কলহ কখন শুরু হচ্ছে সেটা যদি অঙ্গভঙ্গি থেকে বুঝে ফেলতে পারেন, তবে কীভাবে এগোবেন নাকি একেবারেই এড়িয়ে যাবেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।
দিভারিস বলেন, “হুমকি কিংবা মানসিক চাপে প্রতিক্রিয়া কী হবে তা মানুষভেদে ভিন্ন। কিছু মানুষ রেগে যায়, উচ্চস্বরে কথা বলে, পেশি শক্ত হয়, ঘাম হয়, চোখ বড় হয়ে যায়, নাখের পাশা ফুলে ওঠে। আবার কিছু মানুষ কষ্ট পেয়ে দূরে সরে যায়, একা সময় কাটাতে চায়।”
যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গভঙ্গি বিশেষজ্ঞ ব্লাঙ্কা কব বলেন, “মানুষভেদে প্রতিক্রিয়া যেহেতু ভিন্ন তাই কারও সঙ্গে ঝগড়া জড়িয়ে গেছেন কি-না তা বোঝার জন্য ওই ব্যক্তি সাধারণ আচরণ আর বর্তমান আচরণের মধ্যে তুলনা করতে হবে।”
যদি বর্তমান আচরণ ভিন্ন হয় তবেই বুঝতে হবে এখন ঝগড়া শুরু হবে। একজন শান্ত মানুষকে যদি উত্তেজিত হয়ে উঠতে দেখেন তবে বুঝে নিতে হবে বড় কোনো গোলমাল বেধেছে।