চলতি বছরটি উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য বিধ্বংসী হয়ে যেতে পারে। এর কারণ অনেক বেশি দেশ নিজেদের ঋণ সংকটে জর্জরিতদের দলে আবিষ্কার করছে। বেশক’টি দেশ (লেবানন, শ্রীলংকা, রাশিয়া, সুরিনাম ও জাম্বিয়া) এরই মধ্যে খেলাপিও হয়ে গেছে। এসব দেশে অর্থনৈতিক পতন এবং তীব্র দারিদ্র্য বৃদ্ধি থামাতে জরুরিভাবে ঋণ সহায়তা প্রয়োজন।
প্রচলিত ঋণ সংকটের জবাব হচ্ছে ঋণগ্রহীতা দেশ, আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা বা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন (আইএফআই) এবং অন্য বাইরের ঋণদাতাদের সঙ্গে জটিল বিষয়ের প্যাকেজগুলো নিয়ে আলোচনা করা। অভ্যন্তরীণ বন্ডহোল্ডার, শ্রমিক ইউনিয়ন এবং অন্যরাও এতে নিজদের ভূমিকা পালন করে। কারণ তারাও নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার্থে আছে। সব পক্ষের মধ্যে আলোচনার প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ হতে পারে। ঋণগ্রহীতা দেশের অবস্থার অবনতি এমনভাবে অব্যাহত থাকলে ক্ষতির বৃহত্তর বোঝা অন্যদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে প্রাপ্ত ফলাফলকে নিয়ে খেলার জন্য অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক প্রচেষ্টাও রয়ে গেছে।