শিশুর বিকাশে অভিভাবকদের যত্নশীল হতে হবে

যুগান্তর ড. মাহবুব উল্লাহ প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৫৫

বাংলাদেশে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে। একদিকে যেমন অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি অপরাধের বৈচিত্র্যও বাড়ছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয় নবীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। নবীন রাষ্ট্রে অনেক নতুন ধরনের অপরাধের বিস্তার আমরা লক্ষ করেছি। পাকিস্তান আমলে পকেটমাররা মানুষের টাকা অথবা মূল্যবান কোনো সামগ্রী হাতিয়ে নিত। তারা বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে নিরীহ যাত্রীদের অথবা হাটবাজারে সদাই করতে যাওয়া মানুষের ভিড়ের মধ্যে পকেটে থাকা অর্থ নিয়ে নিত।


বাংলাদেশের বয়স এখন ৫০ বছরেরও বেশি। এ সময়টিকে খুব অল্প সময় বলা যায় না। যতই দিন যাচ্ছে, ততই আমরা পরিচিত হচ্ছি নতুন ধরনের অপরাধের সঙ্গে। এর পাশাপাশি ভালো কাজ করার মানুষও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ভালো মানুষেরা জনকল্যাণমূলক কাজ না করত, তাহলে আমরা আমাদের অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকতে পারতাম না। বর্তমানে পকেটমারের পাশাপাশি ছিনতাইকারীদের উৎপাত ভয়ানকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।


স্বাধীনতার পরপর শুনতাম মানিক মিয়া এভিনিউতে খুব ছিনতাই হতো। মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকাটি অন্য এলাকার তুলনায় জনশূন্য ছিল। সে সময় মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পাশে তেমন কোনো ঘরবাড়ি ছিল না। এর ফলে সেখানে ছিনতাই করাটা অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত ছিল। তখন স্ট্রিট লাইটের জ্যোতি সামান্যই ছিল বলা যায়। এখন স্ট্রিট লাইটিংয়ের জন্য এলইডি বাল্ব ব্যবহার করা হচ্ছে। এলইডি বাল্বের উজ্জ্বলতা এবং আলো ছড়ানোর শক্তি অতীতে ব্যবহৃত বাতির তুলনায় শতগুণ বেশি। এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। এমন পরিস্থিতিতে যারা ছিনতাই করে, তাদের ঝুঁকি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।


ছিনতাই নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাফল্য অর্জন করছে এমনটি বলা যাবে না। এই ছিনতাইকারীরা পথচারীদের পকেট হাতিয়ে নেয় খোলামেলাভাবে। পকেটমারদের মতো নীরব কৌশল ছিনতাইকারীরা অবলম্বন করে না। ছুরি কিংবা খেলনা পিস্তল অথবা সত্যিকারের পিস্তল উঁচু করে দেখিয়ে সাধারণ পথচারীদের মনে ভয় ধরিয়ে তার কাছ থেকে সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়। এমন কথাও শোনা যেত, পথচারীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা না থাকলে তাদের পরনের কাপড়চোপড় ছিনিয়ে নিত ছিনতাইকারীরা। এখন ছিনতাইয়ের ধরনও পালটেছে। ছিনতাইকারীরা হেঁটে চলা পথচারী অথবা সিএনজি ও রিকশায় চলা পথচারীদের চোখে বিষাক্ত মলম মাখিয়ে তার দৃষ্টিশক্তি সাময়িকভাবে অচল করে দিয়ে টাকা-পয়সা ও মূল্যবান সম্পদ কেড়ে নেয়। এদের রয়েছে প্রচণ্ড দুঃসাহস।


মোদ্দাকথা হলো, যতই দিন যাচ্ছে অপরাধপ্রবণতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে, নতুন নতুন ধরনের অপরাধ হচ্ছে এবং এর কৌশলেরও পরিবর্তন হচ্ছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে গডফাদাররা তাদের অনুগতদের দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ফোনে ভয় দেখিয়ে এভাবে চাঁদা তোলা এখন বহুল আলোচিত একটি বিষয়। এসব অপরাধের পাশাপাশি আমরা এটাও দেখেছি যে, ভুলক্রমে রিকশায় কোনো যাত্রীর ফেলে যাওয়া টাকার ব্যাগটি যখন রিকশাওয়ালার চোখে পড়ে, তখন সেই রিকশাওয়ালা টাকার মালিককে খুঁজে বের করে টাকাগুলো মালিকের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন। সমাজে খারাপ কাজ করার মানুষের সংখ্যা যখন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এমতাবস্থায় রিকশাওয়ালার সৎ আচরণ সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় স্থান পাচ্ছে। এসব দৃষ্টান্ত দেখে অনেকে ভালো কাজ করার চেষ্টা করছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us