দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ বাজারে জীবনযাত্রায় ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই। চলমান পরিস্থিতিতে দরিদ্রদের জন্য খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির আওতা বাড়ানো অত্যাবশ্যক হয়ে পড়লেও সরকার জোরালো কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকার বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় প্রায় ১৫ লাখ টন চাল ও গম বিতরণ করেছে। এটি এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ শতাংশ কম।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, 'মূল্যবৃদ্ধির এই পরিস্থিতিতে এ ধরনের কাজের পেছনে যুক্তি খুঁজে পাওয়া ঝামেলাপ্রদ।'
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল গড়ে ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এক বছর আগে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
ডিসেম্বরে সার্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। পল্লী অঞ্চলে এটি ছিল ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। কিন্তু মজুরির হার মাত্র ৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ বেড়েছে।
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) চেয়ারম্যান অধ্যাপক বজলুল হক খন্দকার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানির মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্তে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে।
কীভাবে নিম্ন আয়ের মানুষ এর সঙ্গে মানিয়ে নেবে, তা একটি বড় প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে সরকারেরও তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো উদ্যোগ নেই।