আগামী মাসে (২৪ ফেব্রুয়ারি) এক বছর পূর্ণ হবে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের। এই আক্রমণের পেছনে কী কারণ নিহিত ছিল, তা কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারেন না। সাদা চোখে মনে হয় যে, রাশিয়া তার ইউক্রেনীয় রুশদের বাঁচানো ও তাদের জন্য মুক্তভূমি গড়ে দেওয়ার জন্যই এ অভিযানের সূচনা করেছিল। এখন সেটি আর মনে হচ্ছে না। এই এক বছরে রাশিয়া তার বিপুল সেনা ও সামরিক-বেসামরিক সম্পদ হারিয়ে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে বলে মনে হয়। কী সেই পরিকল্পনা? রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন কিছুদিন আগে বলেছেনÑ ইউক্রেন যদি পরিকল্পনা পরিবর্তন না করে, তা হলে তার অস্তিত্বই বিপন্ন হতে পারে। এ কথাটা সাদামাটা মনে হয়। মনে হয় রাজনৈতিক সভার বক্তব্য। কিন্তু আমরা তো পত্রিকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংকট নিয়ে লেখা পড়ে এবং পুতিন বা জেলেনস্কির বক্তব্য শুনে-পড়ে বুঝতে পারি কার সংকট কেমন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় অ্যালিদের তৎপরতা দেখেও কিছুটা আঁচ করতে পারি।
ইউক্রেনের একটা বড় অংশে দুইপক্ষের সেনাদের ‘উল্লেখ করার মতো লড়াই’ নিয়ে কথা বলেন মার্ক মিলে। আমেরিকার শীর্ষ এই জেনারেল বলেন, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ থেকে দক্ষিণ খেরসন ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাখমুত পর্যন্ত দুইপক্ষের লড়াই চলছে। এসব এলাকার দৈর্ঘ্য এক হাজার কিলোমিটারের বেশি।