যে কোনো রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিচালনার জন্য অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অপরিহার্য। এটি ছাড়া পরনির্ভরশীলতার বৃত্ত থেকে বের হওয়া অসম্ভব। এ কথা সবারই জানা যে, পরনির্ভরশীলতা নতমুখী জীবনযাত্রার দিকনির্দেশক। বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশে শিল্পোন্নয়ন ও অবকাঠামোগত যত উন্নয়ন ঘটেছে, ঠিক ততটাই কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ততা কমেছে; সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে কৃষিতে ভর্তুকিও, যা কিনা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাংঘর্ষিক হবে। দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির হার কমছে। বর্তমানে জিডিপিতে এর অবদান ২০ শতাংশের নিচে। অন্যদিকে খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আমদানি-নির্ভরতা বাংলাদেশকে আরও মূল্যস্ম্ফীতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বাণিজ্য ঘাটতিও বাড়ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরুতে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১ হাজার ৫৬১ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬৮৭ কোটি ডলার। আমদানি-রপ্তানির নেতিবাচক ভারসাম্যের ফলে অর্থনৈতিক সংকট আরও ব্যাপক হচ্ছে।