শীতকালে এমনিতেই বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে বায়ুমন্ডল ত্বক থেকে পানি শুষে নেয়। এই শুষে নেওয়ার কারণে ত্বক, ঠোঁট ও পায়ের তালু ফাটতে থাকে। আমাদের ত্বকে থাকে ঘর্মগ্রন্থি, থাকে তেলগ্রন্থি, যেখান থেকে অনবরত তেল আর ঘাম বের হয়। এ ঘাম আর তেল মিলে দেহের ওপর তেল ও পানির মিশ্রণ বা আবরণী তৈরি করে, যা দেহ শীতল করে রাখে এবং ত্বক শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে, ত্বকের ফাটা ভাব প্রতিরোধ করে।
ইকথায়োসিস : শীতকালে এই রোগটি দেখা যায়। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই রোগটি দেখা যায়। এ রোগে আক্রান্তদের হাত ও পায়ের ত্বক ফাটা ফাটা এবং ছোট ছোট গুঁড়ি গুঁড়ি মরা চামড়া বা আঁশ পায়ের সামনের অংশে বা হাতের চামড়ায় ফুটে ওঠে। অথচ হাত ও পায়ের ভাঁজযুক্ত স্থানে থাকবে স্বাভাবিক। শীত এলেই প্রতি বছর এর ব্যাপকতা বাড়ে। আক্রান্তদের হাতের রেখাগুলো খুব স্পষ্ট ও মোটা হয়, যা সাধারণ লোকের দেখা যায় না। একই সঙ্গে অ্যালাজিও দেখা দেয়। এ ধরনের রোগীর কারও কারও নাক দিয়ে পানিঝরা অর্থাৎ সর্দি-সর্দি ভাব থাকে। পরিবারে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের বেশি হয়। এ রোগ কখনো ভালো হয় না। তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। শীত এলে বেশি বেশি তৈলাক্ত পদার্থ মাখলে ত্বক ভালো থাকে এবং ফাটা ভাব থাকে না। তবে যাদের ফাটা অবস্থা বেশি, তাদের ক্ষেত্রে আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড মাখলে খুবই ভালো ফল পাওয়া যায়। এটি পেতে অসুবিধা হলে গ্লিসারিনের সঙ্গে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে ত্বকে মাখলে ভালো ফল পাওয়া যায়।