ধান থেকে চিড়া হয়। চিড়া বানানোর বিশেষ প্রক্রিয়া আছে। এ ক্ষেত্রে এমনভাবে চাপ দেওয়া হয় যাতে চাল ভেঙে গুঁড়ো না হয়ে বরং চ্যাপ্টা হয়ে যায়। অর্থনীতিতেও এমন কিছু চাপ আছে যাতে ক্রেতা বা ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা একেবারে নিঃশেষ হবে না কিন্তু এমন পরিস্থিতি দাঁড়াবে যে সে জীবন্মৃত হয়ে টিকে থাকবে। একে চিঁড়েচ্যাপ্টা দশা বলা যেতে পারে। ক্ষমতাসীনরা বলবেন কই, না খেয়ে মানুষ তো মরেনি। আর সাধারণ মানুষ ভাববেন এভাবে বেঁচে থাকার কষ্ট যদি আপনারা বুঝতেন?
অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পাল্টাপাল্টি আলোচনা এখন আর শুধু অ্যাকাডেমিক আলোচনায় সীমাবদ্ধ থাকছে না। এখন সাধারণ মানুষও জানতে চাইছেন এবং জানতে পারছেন কী হচ্ছে ব্যাংকগুলোতে, ডলারের রিজার্ভ কত, খেলাপি ঋণ কত, কে বা কারা ঋণ নিচ্ছেন বিপুল পরিমাণে আর তার প্রভাব কী পড়ছে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। কিন্তু কী করবেন তারা? না জানাটা অজ্ঞতা আর জেনেও কিছু করতে না পারাটা তাদের অসহায়ত্ব।
তার পরও জানতে হয় এবং তারা সেটা জানছেন পত্রিকা মারফত। জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্য আমদানি করতে গিয়ে গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলারের চাহিদা আর দাম দুটোই বেড়েছে।