জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বাংলাদেশ কর্তৃক প্রণীত সপ্তম শ্রেণির বইগুলো আমাদের নজরে এসেছে। কৌতূহলবশত ‘যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কীভাবে’ অধ্যায়টি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। পড়ে আমি রীতিমতো মর্মাহত, বাক্রুদ্ধ ও হতাশ।
নতুন শিক্ষাক্রমের ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বইয়ের অষ্টম পৃষ্ঠায় ‘যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কীভাবে?’ (সূচিপত্রে শিরোনামের পরে প্রশ্নবোধক চিহ্ন থাকলেও মূল আলোচনায় প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেওয়া হয়নি।) অধ্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে ‘আমাদের প্রথম পড়া দাঁতটি আমরা কী করেছি?’ শিরোনাম দিয়ে। সেখানে শুরুতেই একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি শিশু ঘুমিয়ে আছে, আর তার পাশে একটা পরি এসে দাঁত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এই ছবি দেখে যেকোনো পাঠকের মনে হবে, এটা দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য লেখা কোনো বই, যারা রূপকথার গল্প ভালোবাসে। ছবির নিচেই একটি অণুগল্প জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গল্পটি শুরু হয়েছে এভাবে: ‘রুপা আজ ক্লাসে এসেছে কাগজে মোড়ানো একদম ছোট্ট একটা কিছু নিয়ে। সবাই বলল, কী এর ভেতরে? খুলে দেখাও।’