প্রতিনিয়ত সংবাদপত্রে বিদেশে টাকা পাচার করার সব আশ্চর্য ঘটনা প্রকাশ হচ্ছে। কিন্তু এর বিহিত হিসেবে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক নেতা, আমলা, ব্যবসায়ী বিদেশে নিজেদের সন্তানসন্ততিদের লেখাপড়া ছাড়াও অনেক ধরনের বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত।
শিক্ষার প্রতি প্রথম থেকেই একটা সামাজিক অবহেলা লক্ষ করা যায়। সাতচল্লিশে দেশভাগের পর দেখা যায় বছরের পর বছর স্কুলের শিক্ষকেরা বেতন পাননি এবং ভাষার প্রশ্নে যখন আন্দোলন শুরু হয়, তখন ব্যাপকসংখ্যক শিক্ষক এই আন্দোলনে যুক্ত হন। তখন মুসলিম লীগের রাজনীতিতে সামন্তবাদী চিন্তায় দেখা যায় শিক্ষাকে সংকোচন করার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইসলামি শিক্ষা এবং সেই সঙ্গে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ষড়যন্ত্রে মাতৃভাষাকে উপেক্ষা করার একটা ভাবনা দেখা যায়।