দেশে কিডনি রোগী বাড়লেও সেই অনুপাতে সেবার পরিধি ও দক্ষ জনবল বাড়েনি। এর বদলে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ভর্তুকি দিয়ে কিডনি ডায়ালাইসিস করানো হচ্ছে। সেই সেবাও প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য।
যত দ্রুত সম্ভব কিডনি রোগীদের সেবার পরিধি ও দক্ষ জনবল না বাড়ানো হলে ভবিষ্যতে সংকট আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বব্যাপী অসংক্রামক রোগ (যেমন: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ) বাড়ছে। এসব রোগের কারণেও রোগীর কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে কিডনি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভবিষ্যতে কিডনি রোগী আরও বাড়তে থাকবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘‘সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও দেশে কিডনি রোগীদের সেবার মান বাড়ানো হয়নি। সরকার নিজে সেবার পরিধি বাড়ায়নি এবং আমরা যখন তাদের সহায়তা চেয়েছি, সেটাও তারা করেনি। বরং বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে তারা ভর্তুকি দিচ্ছে।’’
কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন-আর-রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, দেশে মোট নেফ্রোলজিস্টের (কিডনি বিশেষজ্ঞ) সংখ্যা ১৬৫ জন। সেই হিসাবে মোট জনসংখ্যা অনুপাতে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের মাথাপিছু ১ জন করে নেফ্রোলজিস্ট আছেন।
কিন্তু, প্রতি ৫০ হাজার মানুষের মাথাপিছু ১ জন করে নেফ্রোলজিস্ট থাকা প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন তিনি।