শীতে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা বাড়ে। এর মধ্যে পায়ের ব্যথা একটি। শীতের তীব্রতা যত বাড়ে, ততই বাড়ে পায়ের ব্যথা। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পায়ে, হাঁটু ও গোড়ালিতে ব্যথা খুব কষ্টকর বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। অন্য সময় স্নায়ু উদ্দীপ্ত হতে যে পরিমাণ সংবেদনশীলতার প্রয়োজন হয়, শীতে তার চেয়ে অনেক কম স্টিমুলেশনেই নার্ভগুলো অতিসংবেদনশীল হয়ে ওঠে। এতে শীতে ব্যথার অনুভূতি তীব্র হয়। আবার নানা ধরনের বাত বা আর্থ্রাইটিস শীতকালে বাড়ে।
বায়োমেট্রিক চাপ এই সময়ে কমে যাওয়ায় জয়েন্ট বা সন্ধিতে ব্যথা বাড়ে। সায়াটিকার সমস্যাও শীতকালে বাড়ে। এই নার্ভটি শরীরের সবচেয়ে বড়। এতে চাপ বাড়লে পা বা ঊরুজুড়ে অস্বস্তি হতে থাকে, ব্যথা হয়। শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় মাংসপেশিতেও টান ধরে। তা ছাড়া শীতকালে আমরা অনেকেই কম পানি খাই। এতে শরীরে তরলের ঘাটতি দেখা দেয়। মাংসপেশির আড়ষ্টতা বাড়ার এটাও একটা কারণ।
বয়স্ক ব্যক্তিরা শীতে হাঁটাচলার বদলে লেপ-কম্বলের নিচে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। অচলাবস্থার কারণে হাড়ের সংযোগস্থল আরও স্টিফ বা শক্ত হয়ে যায়, তখন ব্যথা বেশি বাড়ে।
যা করতে হবে
- কোনো শারীরিক পরিশ্রম না করে শীতে জবুথবু বা অচল হয়ে বসে থাকবেন না। এতে সন্ধির সমস্যা বাড়বে।
- অতিরিক্ত ঠান্ডায় বাইরে না বেরোলেও ঘরের মধ্যেই হাঁটাচলা ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন। বারান্দায় বা করিডরে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটাচলা করুন। এতে সন্ধির শক্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
- প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন লিটার পানি খাবেন। পানি কম খেলে পানিশূন্যতা থেকে প্রদাহ ও ব্যথা বাড়তে পারে।
- ঠান্ডায় শরীর অতিরিক্ত তাপ হারালে হাত-পায়ে রক্ত চলাচল কমে যায়। এতেও ব্যথা অনেক সময় বাড়তে পারে। তাই শরীর যাতে অতিরিক্ত তাপ না হারায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।