অনেক মহিলার কাছেই ঋতুস্রাবের দিনগুলি যন্ত্রণাদায়ক হয়। শারীরিক কষ্ট তো রয়েছেই, তার সঙ্গে থাকে মানসিক ক্লান্তি, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা। মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক কষ্টের কথা মাথায় রেখে এ বার থেকে সরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের জন্য ঋতুকালীন ছুটি ঘোষণা করল কেরল সরকার।
এই ছুটির কথা ঘোষণা করেছেন কেরলের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী আর বিন্দু। কয়েক দিন আগেই ছাত্রীদের ঋতুকালীন ছুটির আবেদন মঞ্জুর করেছিল কেরলের কোচিন ইনস্টিটিউট অফ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ঋতুকালীন ছুটির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন পড়ুয়ারা। অবশেষে পড়ুয়াদের দাবিতে সিলমোহর দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রছাত্রী নির্বিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসতে হলে আগে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ছিল। এখন ছাত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক উপস্থিতির হার কমিয়ে ৭৩ শতাংশ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত দুই শতাংশ ছুটি প্রতি মাসেই ঋতুকালীন ছুটি হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন ছাত্রীরা। উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী আর বিন্দু বলেছেন, ‘‘মেয়েদের শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণার কথা মাথায় রেখে রাজ্যের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঋতুকালীন ছুটি চালু করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি জানান, কেরলে এই প্রথম কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের ঋতুকালীন ছুটি দেওয়া হচ্ছে। তবে বাকি সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কবে থেকে এই ছুটি মঞ্জুর করা হবে, সে বিষয় কোনও মন্তব্য করেননি শিক্ষামন্ত্রী।