খবরে জানলাম, নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণে সম্প্রতি রাজশাহীতে ৩৫ বছরের এক নারী মারা গেছেন। কাঁচা খেজুরের রস খেয়ে সংক্রমিত হয়েছিলেন তিনি। শুধু এই একটি ঘটনা নয়, প্রতিবছর শীতের সময় নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া যায়।
নিপাহ ভাইরাস নামটি যে গ্রামের নামে
১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়ায় প্রথম নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সংক্রমণের উৎস ছিল নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত অসুস্থ শূকর। মালয়েশিয়ার ‘সুঙ্গাই নিপাহ’ নামের একটি গ্রামের নামে এই ভাইরাসের নাম করা হয়। রোগটি যেন মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য সে সময় লাখ লাখ শূকর মেরে ফেলা হয়। কারণ, আক্রান্ত শূকর থেকে ভাইরাসটি বাড়ির পোষা কুকুর-বিড়াল, ঘোড়া, ছাগলের দেহেও ছড়িয়ে পড়েছিল।
নিপাহ ভাইরাসে সে সময় মালয়েশিয়ায় ২৫৬ জন ‘নিপাহ এনকেফেলাইটিস’ বা মস্তিষ্কের প্রদাহ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল, যার মধ্যে ১০৫ জনই মারা যায়। বাংলাদেশের মেহেরপুরে ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে ২০০১ সালে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। এর পর থেকে প্রতিবছর শীতকালে বাংলাদেশের উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো, বিশেষ করে মেহেরপুর, রাজশাহী, নওগাঁ, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, ঠাকুরগাঁও, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল, পাবনা, নাটোর, মানিকগঞ্জ, গাইবান্ধা, রংপুর, নীলফামারী, মাদারীপুর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও জয়পুরহাটে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে এ পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ৩২৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে মারা গেছে ২৩১ জন।