এই ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতেও সবাই বলছিলাম এ বছর শীত একেবারেই পড়বে না, জলবায়ু পরিবর্তনের এটাও আরেকটি রূপ। এর পেছনে কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ কীভাবে স্থাপিত হবে তা ঠিক আমরা সবাই জানি না কিন্তু বলেছি। বিশেষজ্ঞদের মতে শীতের প্রকোপ হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি। একইসঙ্গে কোনও কোনও দেশের অতি শিল্পায়নের ফলে জলবায়ুর এ ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এখন অবশ্য যেকোনও আবহাওয়া জনিত দুর্যোগ আমরা জলবায়ু পরিবর্তন বলে সহজেই সিদ্ধান্ত দেই। তবে এর প্রকোপ বাড়তে থাকার ফলে আমাদের কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং কীভাবে তৈরি হতে হবে তা নিয়ে কতটুকু বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ রয়েছে– সেসব নিয়ে জানা যায় না।
ইদানীং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিষয় আলোচনায় সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে এতে সন্দেহ নেই। কপ-২৭-এর পর আবার কপ-২৮-এর আলোচনা শুরু হয়েছে, যেখানে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’-এর বিষয়টি এবং ফান্ডের কথা বারবার বেশি করে আলোচিত হবে সন্দেহ নেই। যা হোক, দরিদ্রের বিড়ম্বনা আছে এবং থেকেই যাবে, এ নিয়ে কোনও উত্তর পাওয়া বেশ কঠিন। এই ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ থেকে বা এর থেকে যে তহবিল আসবে তা অতি দরিদ্রের জন্য কীভাবে সহায়ক হবে এবং কী মডেল তৈরি এবং কাজ করবে তা আমাদের জানা নেই।