সারা বিশ্বেই এখন একটা আদর্শিক সংকট চলছে। সবরকম সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে মানবিকতাকে তুলে ধরার মতো ব্যক্তিত্ব পৃথিবীতে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। যে যার স্বার্থ ও সুবিধা অনুযায়ী কথা বলছেন, পথ চলছেন। এমন বাস্তবতায় সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বামী বিবেকানন্দ পাঠ মানবজাতির জন্য জরুরি কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বামী বিবেকানন্দকে আমরা আধ্যাত্মিক চিন্তার একজন মহাপুরুষ হিসেবেই দেখতেই অভ্যস্ত। কিন্তু সমাজের জাতিভেদ প্রথা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে, জাতীয় জীবনে যুব ও নারীদের স্বতন্ত্র গুরুত্বের প্রশ্নে, দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির প্রসঙ্গে তার গভীর অবদানের কথা কখনও অনুধাবন করি না।
বিবেকানন্দের পিতৃপ্রদত্ত নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। ডাকনাম ছিল বীরেশ্বর এবং নরেন্দ্র বা নরেন। তিনি ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি ভারতের উত্তর কলকাতার ৩ নম্বর গৌরমোহন মুখোপাধ্যায় স্ট্রিটের এক উচ্চবিত্ত বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।