এমনকি সত্তরের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত টেলিভিশন মাধ্যমের যেকোনো বড় অনুষ্ঠানের সঞ্চালক কী উপস্থাপক হিসেবে নারী গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠেননি। কিন্তু ১৯৭৬ সালে এবিসি টেলিভিশনের ইভনিং নিউজের কো-হোস্ট হিসেবে যখন চুক্তিবদ্ধ হলেন, সম্মতির জন্য তাকে দিতে হয়েছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার। সে সময় কোনো পুরুষ সঞ্চালকও এত বিপুলাঙ্কের অর্থ পাননি। এক ধাক্কায় বারবারা ওয়াল্টার্স ভেঙে দিলেন দুর্ভেদ্য হিসেবে চিহ্নিত মিডিয়ার বয়েজ ক্লাব।
সেদিন বারবারার মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অপরাহ উইনফ্রে বললেন, বারবারা ক্লাবটা ভাঙতে পেরেছিলেন বলেই আমি অপরাহ উইনফ্রে হতে পেরেছি। বারবারা ১৯৫১ থেকে ২০১৫-তে অবসরে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সার্বক্ষণিক সাংবাদিকই ছিলেন। সংবাদ জগতে তার মাপের সেলিব্রিটি দুর্লভ। বারবারা ওয়াল্টার্সের জন্ম ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯২৯, মৃত্যু ৩০ ডিসেম্বর ২০২২। তার খ্যাতির অন্যতম কারণ তিনি তার কর্মজীবনে নির্বাচিত সব আমেরিকান প্রেসিডেন্ট, ফার্স্টলেডি, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবর্গ, আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটিসহ বহুজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। এটা সনাতন সাক্ষাৎকার নয়, তিনি এমন বিশ্বাসযোগ্য পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন যে এসব গুরুত্বপূর্ণ মানুষের মুখ দিয়ে বহু গোপন কথাও বেরিয়ে এসেছে।