জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ফসলি জমির টপ সয়েল (উপরের অংশ) যাচ্ছে অবৈধ ইটভাটায়। ভাটার মালিকদের অর্থের লোভে কৃষকরা ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে জমির উর্বরতা হ্রাস পাওয়াসহ জমি হারিয়ে ফেলছে তার স্বাভাবিক উৎপাদন ক্ষমতা। স্থানীয়দের অভিযোগ ফসলি জমি থেকে অবৈধ ভাটায় টপ সয়েল গেলেও রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
জানা গেছে, উপজেলায় ১২টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র একটিও নেই। এরপরও এসব ভাটায় থেমে নেই ইট পোড়ানো। ইট তৈরির প্রধান কাঁচামাল মাটি। একটি ইট তৈরিতে প্রায় ৪ কেজি মাটির প্রয়োজন। প্রতিটি ইট ভাটায় প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ লাখ ইট উৎপাদিত হয়। বছরের পর বছর কৃষকদের বোকা বানিয়ে ভাটার মালিকরা কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কিনে নেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউপির পাঁচবাড়িয়া, পার্থশী ইউপির বলিয়াদহ, ডেংগারঘড়, বানিয়াবাড়ি, বামনা, চরগোয়ালীনি ইউপির ডিগ্রীচর, আকন্দ পাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার উৎসব। গত এক মাস থেকে প্রতিদিন ভোর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১০ থেকে ১৫টি স্থান থেকে খননযন্ত্র দিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ট্রাক্টর মেশিনের সাহায্যে মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ভাটায়।