এক সময় বাঁশ কেটে চুঙ্গা বানিয়ে এর ভেতর ভেজা চাল ভরে এক ধরনের খাবার তৈরি করতেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন। ধীরে ধীরে এ খাবার সিলেট ও মৌলভীবাজারের মানুষের কাছে জনপ্রিয় ওঠে। খাবারটি এখন চুঙ্গাপুড়া পিঠা নামে বহুল পরিচিত।
শীত এলেই বাজার থেকে মাছ কিনে কিংবা হাওর-নদী থেকে বড় বড় রুই, কাতল, চিতল, বোয়াল, পাবদা, কই, মাগুর মাছ ধরে এনে হালকা মসলা দিয়ে ভেজে (আঞ্চলিক ভাষায় মাছ বিরান) দিয়ে এ পিঠা খাওয়া ছিল অন্যতম ঐতিহ্য। বাড়িতে মেহমান বা নতুন জামাইকে শেষ পাতে চুঙ্গাপুড়া পিঠা, মাছ বিরান আর নারিকেলের পিঠা পরিবেশন না করলে যেন লজ্জায় মাথা কাটা যেত।