মেট্রোরেল যেন আরেকটি বাংলাদেশ রেলওয়ে না হয়

প্রথম আলো মো. সিরাজুল ইসলাম প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:৩৫

টেলিভিশনে আজকাল একটি বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে। রেলস্টেশনে ঘোষণা—ট্রেন আরও সাড়ে তিন ঘণ্টা দেড়িতে ছাড়বে! স্টেশনমাস্টারকে কৈফিয়ত জানিয়ে কোনো লাভ হলো না—উল্টো ঝাড়ি খাওয়া! পরে আবার ঘোষণা, ট্রেন ছাড়তে আরও সাড়ে চার ঘণ্টা দেরি। অতঃপর সহযাত্রীর পরামর্শে একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের ‘ডালভাজা’ খেয়ে ‘মুঠোয় মুঠোয়’ মূল্যহীন সময় পার! অতিরঞ্জিত মনে হলেও প্রকৃত অর্থে জনমানুষের কাছে বাংলাদেশ রেলওয়ের ভাবমূর্তি অনেকটা এমনই। তা ছাড়া সংস্থাটি নিজ থেকে বিজ্ঞাপনটি নিয়ে কোনো প্রতিবাদও জানায়নি। যার মানে হচ্ছে, এটাই আসলে বাস্তবতা। ‘নয়টার ট্রেন কয়টায় ছাড়ে’ প্রবাদবাক্যটি সম্ভবত বাংলাদেশেই প্রযোজ্য। জাপানিরা এ ধরনের প্রবাদ কখনো কল্পনাও করতে পারেন না, কেননা তাঁদের ট্রেন চলে ঘড়ির কাঁটা মেপে।


শুধু রেলওয়ে কেন, বাংলাদেশের প্রায় সব কটি সরকারি সেবাদানকারী সংস্থা নিয়েই জনগণের মনে ধারণা মোটামুটি একই রকম—বিমান, বিআরটিসি, টেলিফোন, গ্যাস কিংবা পানি। এটা ঠিক যে মোটের ওপর তারা জনগণকে কিছুটা সার্ভিস যে দিচ্ছে না, তা নয়, কিন্তু আশানুরূপ নয়। অনেকটা ধুঁকে ধুঁকে চলা। গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হয়—দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার অভিযোগ হরহামেশাই।


সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত, নগর যোগাযোগে নতুন দিগন্ত মেট্রোরেল নিয়েও তা–ই ভাবনা হচ্ছে। কেননা সরকার এটি নিজে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) নামের একটি সরকারি মালিকানাধীন সংস্থার মাধ্যমে। বড় স্থাপনা নিজে চালানো, তথা নিজের পায়ে দাঁড়ানো বা স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য আমাদের সরকারি সংস্থাগুলোর মানোন্নয়ন তথা প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজনীয়। তবে এ ধরনের একটি স্পর্শকাতর ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসংবলিত স্থাপনা প্রথমেই সরকারি সংস্থা দ্বারা পরিচালনা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।  

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us