পরিবেশ প্রশ্নে বিশ্বসম্প্রদায় এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সচেতন। বিশ্বের উষ্ণতা কমাতে কিছুটা হলেও চিন্তিত। শিল্পবিপ্লবের শুরু থেকেই জীবাশ্ম জ্বালানির সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য, উন্নত জীবনের সোপানে আরোহণের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দরকারি, কিন্তু পরিবেশ সুরক্ষাহীন প্রয়োগ ও ব্যবহারের মাধ্যমে মনুষ্য সভ্যতা পৃথিবী ও পরিবেশের ওপর নির্বিচার ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়েছে কারণে কিংবা অকারণে, আমাদের জ্ঞাতসারে ও অজ্ঞাতে।
গত দুই শ বছরের মানব প্রজন্মগুলো ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও কারিগরি বিকাশের তৎপরতা চালাতে গিয়ে বিশ্ব পরিবেশের যে ক্ষতি করেছে, তাকে টেকসই করতে আজ নতুন প্রজন্মের ওপর পুরোনো প্রজন্মের জঞ্জাল মোচনের দায় এসেছে। পুরোনো প্রজন্ম এবং শিল্পোন্নত বিশ্ব যেসব সমস্যা তৈরি করে গিয়েছে, সেসব সমস্যা নতুন প্রজন্মকে সমাধান করার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। এ দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। এটা ঠিক, কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের উন্নত দেশ এবং বৃহৎ অর্থনীতির দায়ই সিংহভাগ।