আইনজীবী ও বিচারকের আত্মঘাতী বিরোধ অশনি সংকেত

বাংলা ট্রিবিউন মো. জাকির হোসেন প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:১৩

সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের এজলাস চলাকালীন কতিপয় আইনজীবীর অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এজলাস কক্ষে বিচারকের সঙ্গে শিষ্টাচারবহির্ভূত ও অশালীন আচরণ কেবল অনভিপ্রেত, ন্যক্কারজনক ও দুঃখজনকই নয়; এটি রাষ্ট্রের জন্যও অশনি সংকেত। এতে বিচার বিভাগের মর্যাদা ও সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।

আমি অশনি সংকেত বলছি এই কারণে–

এক. এই ঘটনা আকস্মিকভাবে ঘটেনি। এটি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। নেপথ্যের ঘটনাপ্রবাহ থেকে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরের ১ তারিখে নিম্ন আদালতের মাসব্যাপী ছুটি শুরু হওয়ার শেষ দিনে বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ ফারুক দিনের প্রথমার্ধে এজলাসের কাজ শেষ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(গ) ধারার বিধান অনুযায়ী দুটি মামলার সালিশ নিষ্পত্তিতে বসেছিলেন। এসময় একজন আইনজীবী বিচারকের খাস কামরায় উপস্থিত হয়ে নতুন মামলা গ্রহণের আবেদন করেন। সালিশরত বিজ্ঞ বিচারক সালিশ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু আইনজীবী অপেক্ষা না করে ওই মুহূর্তেই মামলা গ্রহণ করতে চাপ সৃষ্টি করেন। শপথ নিয়ে বাদীর জবানবন্দি নেওয়া বাধ্যতামূলক বিধায় খাস কামরায় মামলা নেওয়ার সুযোগ নেই। সালিশ বাদ দিয়ে বিচারক ওই মুহূর্তে এজলাসে উঠতে রাজি না হওয়ায় আইনজীবী সমিতির সভাপতি এসে বিজ্ঞ বিচারকের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। বাদানুবাদের একপর্যায়ে আদালত বর্জনের হুমকি প্রদান করেন আইনজীবী নেতৃবৃন্দ। ছুটি শেষে নতুন বছরের প্রথম দিনে আদালতের কাজ শুরু হয়। বিচারক মোহাম্মদ ফারুক দিনের প্রথমার্ধের বিচারিক কাজ শেষ করে এজলাস থেকে নেমে খাস কামরায় গেলে আইনজীবী নেতারা আদালতের পেশকারের কক্ষে ঢুকে চিৎকার করে বলতে থাকেন, আদালত বর্জনের ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও বিচারক এজলাসে কেন উঠলেন?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us