হিমায়িত করার নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এই প্রযুক্তিকে আয়নোক্যালোরিক কুলিং বলছেন তাঁরা। একে হিমায়িত করার বিদ্যমান প্রক্রিয়ার বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের সম্ভাবনা দেখছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু তা–ই নয়, নতুন এই প্রযুক্তি বিশ্বের জন্য আরও বেশি নিরাপদ ও সহায়ক।
সাধারণ হিমায়ন প্রক্রিয়ায় গ্যাসের মাধ্যমে তাপ পরিহার করে শীতল অবস্থার সৃষ্টি করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি যতটা না কার্যকর, তার চেয়ে দুশ্চিন্তার হলো ব্যবহৃত গ্যাস পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তি পরিবেশবান্ধব। যুক্তরাষ্ট্রের লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি ও ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকেরা হিমায়িত করার নতুন এ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন।
যখন কোনো পর্দাথ বা বস্তু এক রূপ থেকে অন্য রূপে রূপান্তরিত হয়, তখন কিছু শক্তি সঞ্চিত বা নির্গত হয়। গবেষকেরা এই শক্তি সঞ্চয় বা নির্গমন প্রক্রিয়ার সদ্ব্যবহার করেই নতুন পথের সন্ধান পান। একে আয়নোক্যালোরিক চক্র বলছেন বিজ্ঞানীরা।
ক্যালিফোর্নিয়ার লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির যন্ত্র প্রকৌশলী ড্রু লিলি বলেন, হিমায়িত করার প্রক্রিয়াটি এখনো অমীমাংসিত এক ব্যাপার। কেউই সফলভাবে কোনো বিকল্প উদ্ভাবন করতে পারেননি—যা খুবই কার্যকরভাবে দ্রব্যকে শীতল করে এবং যা নিরাপদ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। আমরা মনে করি, যদি সঠিকভাবে এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যায়, তাহলে আয়নোক্যালোরিক চক্রের সেই লক্ষ্য পূরণের সম্ভাবনা আছে।
বরফের কোনো অংশে তাপ বাড়ালে সেই অংশ গলে যায়। আবার তাপ ছাড়া কয়েকটি চার্জযুক্ত কণা বা আয়ন যোগ করলেও বরফ গলে। শীতপ্রধান দেশে যেমন রাস্তায় বরফ জমা ঠেকাতে লবণ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আয়নোক্যালোরিক প্রক্রিয়ায়ও পদার্থের তরল স্তরকে পরিবর্তন করতে এবং তার চারপাশকে শীতল করতে লবণ ব্যবহার করা হয়।