কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোডের ইঞ্জিনিয়ারিং কলোনি। এই কলোনির এ/১২(এ) নম্বর বাসাটি বরাদ্দ পেয়েছিলেন চট্টগ্রাম রেলের টিকিট কালেক্টর গাজী মো. ফারহান সাদিক। কিন্তু সেই বাসার ভেতরের কিছু অংশ ও বাইরে কলোনির সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ৩০টি দোকান নির্মাণ করেছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, অবৈধভাবে তৈরি করা এসব দোকান ভাড়াও দিয়েছেন। এ জন্য প্রত্যেক দোকানির কাছ থেকে অগ্রিম নিয়েছেন মোটা অঙ্কের অর্থ, যাকে চট্টগ্রামের ভাষায় বলা সেলামি।
ফারহান সাদিকের কাছ থেকে দোকান ভাড়া নেওয়া কয়েকজন ব্যবসায়ী আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে প্রতিটি দোকানের জন্য ৩০ লাখ টাকা করে অগ্রিম নিয়েছেন রেলের এই কর্মচারী।
রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের এক প্রতিবেদনেও কলোনির সীমানাপ্রাচীর ভেঙে অবৈধভাবে দোকান ও গুদামঘর নির্মাণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। সম্প্রতি ভূ-সম্পত্তি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম জায়গাটি পরিদর্শন করে ওই প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ইঞ্জিনিয়ারিং কলোনির সীমানাপ্রাচীর ভেঙে সেমিপাকা দোকান ও গুদাম নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে অবৈধভাবে। যে বাসাটিকে ঘিরে এসব স্থাপনা গড়ে উঠেছে, সেই বাসার প্রবেশপথে তালা লাগানো ছিল। তাই ভেতরে আরও কোনো অবৈধ স্থাপনা আছে কি না, তা জানা সম্ভব হয়নি। বাসাটিতে টিকিট কালেক্টর ফারহান সাদিক থাকেন না বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে মো. মনিরুল ইসলাম অবৈধভাবে নির্মিত দোকানঘর, গোডাউন উচ্ছেদ এবং বরাদ্দকৃত বাসাটি বাতিল করে ফারহান সাদিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, এ/১২(এ) নম্বর বাসাটির তিন দিকের সীমানাপ্রাচীর ভেঙে তৈরি করা হয়েছে এসব দোকান। দোকানগুলোয় নীল রঙের টিনের চাউনি। এসব দোকানের আয়তন কোনোটি ৩২ ফুট বাই ২২ ফুট, কোনোটি ৪০ ফুট বাই ৩০ ফুট, আবার কোনোটি ৩০ ফুট বাই ১০ ফুট।