এই লেখা যখন লিখছি, তখন কুয়াশার চাদর ছেড়ে শহরটা মাত্রই আড়মোড়া ভাঙতে শুরু করেছে। কদিন ধরে রোদের দেখা পাওয়া ছিল ভার। ঘরের ক্ষুদ্রতম ফাঁকফোকর দিয়ে হু হু করে ঢুকেছে উত্তুরে হাওয়া।
শীতে শিশু ও বয়স্করা ভোগেন বেশি। ঠান্ডায় অ্যালার্জি থাকলে কিংবা শ্বাসকষ্টজনিত অন্যান্য সমস্যা থাকলে তো কথাই নেই। এমন ব্যক্তির জন্য শীতে চাই বাড়তি যত্ন। শুধু নিজেদের নয়, পোষা প্রাণীর কথাও এ সময় ভুললে চলবে না।
শীতে কেমন হবে জীবনধারা
শীতে আরামদায়ক উষ্ণতা চাই। হিম হাওয়া যখন বয়ে যায়, তখন আটকে রাখুন জানালা-দরজা। আরামদায়ক শীতের পোশাক পরতে হবে। প্রয়োজনে হাতমোজা, কানটুপি—সবই পরতে হবে। তবে খুব আঁটসাঁট পোশাক না পরা ভালো। এমন শীতপোশাক পরে বাইরে যাওয়া উচিত, প্রয়োজনে যেটি সহজে খুলে রাখা যাবে। নিত্যব্যবহারের জন্য উষ্ণ পানি রাখতে পারেন। এমনটি জানালেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মতলেবুর রহমান। শীতের জীবনধারা বিষয়ে তাঁর আরও পরামর্শ—
• শীতে নানা শাকসবজি ফলে। পুষ্টিগুণে ভরপুর এসব শাকসবজি খান প্রচুর পরিমাণে। ফলমূলও খেতে হবে।
• শীতে তৃষ্ণা অনুভূত হয় কম। তৃষ্ণা না পেলেও পানি খেতে হবে পর্যাপ্ত।
• গোসল করতে আলসেমি লাগলেও রোজকার ধুলাময়লা পরিষ্কার করতে গোসলের বিকল্প নেই। তবে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য নয়।