নতুন বছরের প্রথম থেকেই কনকনে ঠান্ডায় জেঁকে বসেছে শীত। বেলা বাড়লেও নেই সূর্যের দেখা। শীতে জবুথুবু দেশের বিভিন্ন জনপদ। ধীরে ধীরে নামছে তাপমাত্রার পারদ। হিম বাতাসে জবুথবু সারাদেশের জনজীবন। বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ঘন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। প্রচণ্ড ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ০৮ জানুয়ারি যশোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে। দেশের নওগাঁ, দিনাজপুর, চুয়াডাঙা, পঞ্চগড় ও যশোর অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
শুধু উত্তরাঞ্চল নয়, দেশের অন্যান্য জেলার মতো ঢাকাতেই তুলনামূলক শীত বেশি পড়ছে। আগামী পাঁচ দিনে আবারও তাপমাত্রা কমে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে পূর্বাভাসে।
এই সময়ে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা খানিকটা বাড়তে পারে। এই রাত ও দিনের তাপমাত্রার পার্থক্যের কারণে দেশের উত্তর, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া এই সময়ে শুষ্ক থাকতে পারে।
ডিসেম্বরের মধ্যভাগে যখন পৌষ মাস এসে গেল, তখন ঢাকাবাসীর অভিযোগ, আক্ষেপ তীব্র শীত পড়ে না কেন! এখন যখন কয়দিন ধরে শীত পড়তে শুরু করেছে, আমরা অভিযোগ করতে শুরু করেছি, ঢাকায় হঠাৎ এত শীত কেন! 'ঢাকায় তেমন শীত পড়ে না' কথার তীব্র জবাব দিতেই বোধহয় হঠাৎ করে রাজধানী ঢাকায় কনকনে বাতাস নিয়ে জেঁকে বসল তীব্র শীত।