এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলেছে কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়ার বাহাদুরি। আর ঘন কুয়াশা সূর্যকে যেন পাত্তাই দেয়নি। পাঁচ দিন ধরে ভারতের দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিশাল ঘন কুয়াশার স্তর আটকে ছিল। রোববার কুয়াশার সেই আঁচল সরে গেছে। কুয়াশার বুক চিরে উঁকি দেয় সূর্য। সকাল সকাল ঝলমলে মিঠে রোদ এসে আলো আর উষ্ণতায় ভরিয়ে দেয় চরাচর। বন্ধ হয়ে যায় বাতাস। তাতেই কিছুটা কাটে শীতের জড়তা। আড়মোড়া ভেঙে কাজে বেরিয়ে পড়ে মানুষ।
তবে শীতের অনুভূতি কমলেও রয়ে গেছে শৈত্যপ্রবাহ। কমেছে তাপমাত্রা। রোববার দেশের ১৬ এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ মৌসুমে সবচেয়ে কম। রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দিনে ঝলমলে রোদে স্বস্তি মিললেও রাতে শীতের কষ্ট থেকে যেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য বেড়ে যেতে পারে। আগামীকাল সোমবার রোদ আরও সকালে উঠে দীর্ঘ সময় স্থায়ী হতে পারে। এতে দিনের বেলা শীতের অনুভূতি কমে আসতে পারে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে আবারও শীত বাড়তে পারে। এমনকি দেশের কোথাও কোথাও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের এলাকাও বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, দেশে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসায় শীতের অনুভূতি বেশি ছিল। রোদ ওঠায় এবং তা বেশি সময় স্থায়ী হওয়ায় দিনের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। আগামী দুই থেকে তিন দিন দেশের উত্তরাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। তবে দিনের তাপ বাড়বে।