‘ম্রো’ শব্দের অর্থ হয় ‘মানুষ’, আমি জেনেছি অনেক পরে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পেরিয়েও এই মানুষদের কাছ থেকে রাষ্ট্র থাকে অনেক দূরে। তাঁদের ওপর বারবার আক্রমণ হয়, কোনো বিচার হয় না।
কোনো প্রতিকার নেই। ম্রোরা বলছেন, তাঁরা হয়তো এই ভূমিতে আর থাকতে পারবেন না। নতুন বছরের শুরুতে তাঁদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে তছনছ করে দেওয়া হলো। এখনো কোনো মামলা হলো না। কেউ গ্রেপ্তার হলো না। প্রথম আলো ২ জানুয়ারি প্রতিবেদন করেছে, লামায় ম্রোদের পাড়ায় আবার হামলা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট। বাড়িঘরে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুরের ছবি ছাপিয়েছে পত্রিকায়। একটি ছবিতে দেখলাম, অসহায় ম্রো মা কোলে একটি শিশু বেঁধে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর সামনে আরও দুটি শিশু আর স্বামী। পেছনে নিশ্চিহ্ন ঘর আর সামনে ছড়িয়ে আছে থালাবাসন। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকায় এই ছবি ও প্রতিবেদন দেখলাম।