হাড়ের দুর্বলতা ও রক্তপাত বন্ধ না হওয়ার কারণ হতে পারে ভিটামিন কে’র অপর্যাপ্ততা।
রক্ত জমাট বাঁধা ও হাড়ের সুস্থতার জন্য এই ভিটামিনের প্রয়োজন রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো’তে অবস্থিত ‘মেগাফুড’য়ের নেইট্রোপ্যাথিক চিকিৎসক পুষ্টিবিদ এরিন স্টোক্স জানান, চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন কে- জমাট বাঁধা, হাড়ের বিপাকীয় স্বাস্থ্য ও হৃদযন্ত্রের কার্যাবলিতে ভূমিকা রাখে।
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “ভিটামিন কে’র প্রধান দুই রূপ কেওয়ান (ফিলোকিনোন) এবং কেটু (মেনাকিনোন)। কেওয়ান পাওয়া যায় পত্রল-সবুজ সবজি থেকে। কেটু মানব শরীরের অন্ত্রেই তৈরি হয় আর পাওয়া যায় গাঁজানো পদ্ধতিতে তৈরি খাবারে।”
অভাব বোঝার লক্ষণ
ভিটামিন কে’র অভাব বোঝার প্রধান লক্ষণ হচ্ছে রক্তপাত সহজে বন্ধ না হওয়া।
ডা. স্টোক্স বলেন, “সাধারণ কাটা ছেড়ায় রক্তপাত বেশিক্ষণ হয় না। একটু পরেই বন্ধ হয়ে যায় রক্ত জমাট বেঁধে। তবে এই রক্তপাত যদি বেশিক্ষণ ধরে চলতে থাকলে ধরে নিতে হবে ভিটামিন কে’র অভাব রয়েছে।”
এছাড়া নারীদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়া এই ভিটামিনের অপর্যাপ্ততার লক্ষণ।
এই পরিস্থিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন নিউ ইয়র্ক’য়ের পুষ্টিবিদ বিয়ানকা টাম্বুরেলো।
তিনি বলেন, “কোয়াগিলেইশন টেস্ট’ যাকে বলে ‘প্রোথ্রোম্বিন টাইম (পিটি)’র মাধ্যমে পরীক্ষা করা যায় ভিটামিন কে’র স্বল্পতা রয়েছে কি-না।”
ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও হাড়ের সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ভিটামিন কে’র প্রয়োজন পড়ে। এই ভিটামিনের অভাবে হাড় দুর্বল হয়ে যায়। ফলে দেখা দেয়- হাড় ফাটা রোগ, দুর্বল অঙ্গভঙ্গী, ঘাড় ও পিঠ ব্যথা; এসব হল ‘ওস্টিওপোরোসিস’ রোগের পূর্ব লক্ষণ।
তবে অতিরিক্ত রক্তপাতের চাইতে হাড় দুর্বল হওয়াল লক্ষণ কম গুরুত্বপূর্ণ।
যেসব খাবার থেকে মিলবে ভিটামিন কে
“পালংশাক, বাঁধাকপি, লেটুস- এই ধরনের পাতাযুক্ত সবুজ সবজি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলবে ভিটামিন কে”, বলেন পুষ্টিবিদ টাম্বরেলো।
তিনি আরও পরামর্শ দেন, “আর এসব খেতে হবে স্বাস্থ্যকর চর্বির সঙ্গে মিলিয়ে। কারণ এই ভিটামিন চর্বিতে দ্রবণীয়। যে কারণে অলিভ অয়েল বা অ্যাভাকাডো’র তেল অর্থাৎ এই ধরনের স্বাস্থ্যকর চর্বি বা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে সবজিগুলো খেলে শরীরে ভিটামিন কে শোষিত হবে।”