বিগত এক যুগের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে গণমুখী ও টেকসই নীতির ভিত্তিতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা চলমান থাকায় বাংলাদেশ এখন কেবল দক্ষিণ এশিয়া বা এশিয়া নয়, বরং পুরো বিশ্বেই সবচেয়ে দ্রুত বর্ধিষ্ণু অর্থনীতিগুলোর একটি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে এটাও মানতে হবে যে, আমাদের অর্থনীতি এখন বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত। তাই বিশ্ব অর্থনীতির সাম্প্রতিক উথাল-পাথালের ধাক্কা বেশ খানিকটা বাংলাদেশের ওপর পড়েছে এবং আগামীতেও পড়বে। একদিকে করোনা সংকট এবং অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেল, খাদ্য ও সারের দামের বড় উল্লম্ফন ঘটেছিল ২০২২ সালে। তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। বিশ্ব পণ্যমূল্য কমতে শুরু করেছে।
আশা করা যায়, আমদানি করা এসব পণ্যের কমতি দামের ইতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতি খানিকটা হলেও কমবে সদ্য শুরু হওয়া ২০২৩ সালে। তবে ২০২৩ সালে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশে ভয়াবহ মন্দা বিরাজ করবে বলে সদ্য আইএমএফপ্রধান জানিয়েছেন। এ আশঙ্কাকে ছোট না করেও এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, বাংলাদেশ ২০২২ সালে তার আত্মশক্তির বলে বিশ্ব অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো বেশ ভালোভাবেই মোকাবিলা করেছে। আশা করা যায়, তার নিজস্ব সক্ষমতার বলে নতুন বছরেও বিশ্ব অর্থনীতির চলমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অক্ষুণœ রাখতে সক্ষম হবে।