চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস অর্থাৎ গত জুলাই-ডিসেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেশ সন্তোষজনক। গত ডিসেম্বরে ৪৬৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। একক মাস হিসেবে এ খাতে এটাই এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়। আর সব মিলিয়ে গত ছয় মাসে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে যা বেড়েছে ১৫ শতাংশ। তবে পোশাকের ধারাবাহিক এই অগ্রগতির বিপরীতে বড় এবং আলোচিত বেশ কিছু খাতের রপ্তানিতে দেখা গেছে পতনের ধারা।
তৈরি পোশাকের পরই কৃষিপণ্য, পাট ও পাটপণ্য, চিংড়িসহ হিমায়িত এবং জীবন্ত মাছ, হোম টেক্সটাইল ও ওষুধকে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চামড়া, বাইসাইকেল, ফার্নিচার ও টেরিটাওয়েলও রয়েছে এ তালিকায়। গত ছয় মাসে এই পণ্যগুলোর রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক কমে গেছে। এই পণ্যগুলো রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করতে পারেনি।
পোশাক রপ্তানি বাড়লেও বাকি গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলোর রপ্তানি কেন কমলো- তার কারণ ব্যাখ্যায় উদ্যোক্তারা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অন্যান্য কারণে বিশ্ববাজারে চাহিদা কমেছে। মৌলিক নয়, এমন পণ্যের রপ্তানি কমছে। কোনো কোনো পণ্যের কাঁচামালের দর কমে আসায় রপ্তানিমূল্য কম পাওয়া যাচ্ছে। আবার কিছু পণ্যের কাঁচামাল ও রাসায়নিকের দর বেড়ে যাওয়ায়ও রপ্তানি কমেছে। গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটেও স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এ কারণেও রপ্তানি কমেছে।