অ্যাসিডিটির সমস্যা এখন অনেকেরই রয়েছে। এবার মাঝেসাঝে চোঁয়া ঢেকুর উঠলে তাও না হয় চলে। তবে অনেকের তো প্রায়ই এই সমস্যা হয়। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সতর্ক থাকাটা জরুরি। পুষ্টিবিদ এমনই কয়েকটি খাবারের কথা জানালেন যা অ্যাসিডিটি বাড়াতে পারে।
আসলে আমরা খাবার খাই। সেই খাবার খাদ্যনালী বেয়ে পাকস্থলীতে যায়। এবার খাদ্যানালী ও পাকস্থলীর মুখে একটি দরজা রয়েছে। এই দরজা একমুখে খোলে। খাদ্যনালী থেকে যখন খাবার যায় পাকস্থলীতে তখনই দরজা খুলে যায়। কিন্তু অ্যাসিডিটি হলে এই দরজা ভুল দিকে খোলে। তখন পেটের অ্যাসিড উপর দিকে ওঠে। বুক জ্বালা করে, মুখ টক হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই সমস্যা এখন অনেকেরই রয়েছে। এমনকী কিছু ক্ষেত্রে তো রোজকার রোজ মানুষ অ্যাসিডিটিতে ভুগতে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করুন। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। অন্যথায় জটিলতা বাড়তে পারে।
এই প্রসঙ্গে কলকাতার বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, জিইআরডি বা অন্যান্য পেটের রোগের জন্য এই সমস্যা হতে পারে। এই অসুখ থাকলে অবশ্যই সতর্ক হন। সেক্ষেত্রে কয়েকটি খাবার অ্যাসিডিটির পিছনে দায়ী বলে জানালেন তিনি।
১. ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিপস
ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আসলে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পুরো গরম ছাকা তেলে ভাজা হয়। এই ভাজা এমনিতেই ভালো নয়। শরীরে প্রবেশ করে অনেকটা তেল। এছাড়া অ্যাসিডিটি থাকলে এই খাবার ছোঁয়াও পাপ। কারণ এর খেকে শরীরে সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি চিপস কিন্তু ভাজা হয় অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রায়। নানা ধরনের মশলা দেওয়া থাকে। এই কারণে চিপস কিন্তু শরীরের বিরাট ক্ষতি করে। তাই আপনাকে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হতে হবে। এবার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও চিপস থেকে দূরে যান।
২. আনারস
আনারস দারুণ এক ফল। এই ফল খেতে অত্যন্ত ভালো। তবে মনে রাখবেন যে এই ফল থেকে অনেকের সমস্যা হতে পারে। আসলে আনারস খাওয়ার পর অনেকের পেটে সমস্যা হয়। তাঁদের অ্যাসিডিটি হতে পারে। তবে সবার যে এই ফল থেকে অসুবিধা হবে, এমন নয়। বরং কিছু মানুষের হয়। তাই এই ফল খাওয়ার আগে সতর্ক হন। আর আনারস খেলেও তা আপনি মশলা বা নুন সহযোগে খাবেন না। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। অন্যথায় জটিলতা বাড়বে।
৩. সাইট্রাস জাতীয় ফল
ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এখন লেবু খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। আর এটা হল ফলের সিজন। কম দামে লেবু পাওয়া যাচ্ছে হাটেবাজারে। তবে অ্যাসিডিটি থাকলে আপনি যতটা সম্ভব লেবু খাওয়া থেকে দূরে যান। এতে থাকা সাইট্রাস পাকস্থলীকে উত্তজিত করতে পারে। তাই সাইট্রাস জাতীয় ফল না খাওয়াই ভালো। এভাবেই শরীর সুস্থ থাকতে পারে। তবে কারও সমস্যা না থাকলে অনায়াসে এই উপকারী ফল খান। প্রচুর ভিটামিন সি পাবেন।
৪. কফি, চা
ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, চা বা কফি খাওয়া এমনিতে খারাপ নয়। তবে অনেকে দিনে ৪ কাপের বেশি চা বা কফি পান করেন। এবার এই মানুষগুলিকে নিয়েই সমস্যা। কারণ এত পরিমাণ চা, কফি মুখে নিলে আদতে শরীর খারাপ হতে পারে। এই দুই পানীয়ে রয়েছে ক্যাফিন। এই ক্যাফিন পাকস্থলীর জন্য তেমন একটা ভালো নয়। এর থেকে অ্যাসিড তৈরি হতে পারে। তাই সতর্ক হয়ে যান। তাই অ্যাসিডিটি হলে এই পানীয় একদমই নয়। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।