একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্র স্বপ্ন দেখে মূলত তাদের তরুণ প্রজন্ম নিয়ে। বলা চলে একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্রের সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে তরুণ প্রজন্মের সাফল্য-ব্যর্থতার ওপর। কিন্তু আমাদের জন্য হতাশার বিষয় হচ্ছে, আমাদের তরুণ প্রজন্মের বৃহৎ অংশই আজ হতাশায় নিমজ্জিত।
তাদের হতাশা বিভিন্ন ধরনের। নিজের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার হতাশা, পরিবার বা সমাজের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারার হতাশা, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল করতে না পারার হতাশা, সহপাঠীদের থেকে পিছিয়ে পড়ার হতাশা, পড়াশোনা শেষে চাকরি না পাওয়ার হতাশা, প্রেমিক-প্রেমিকাকে না পাওয়ার হতাশা ইত্যাদি।
আমি সেদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের মতামত জানতে পোস্ট করেছিলাম—‘এতকিছু থাকতে আপনি অনার্স করতে গেলেন কেন?’
পোস্টের নিচে মন্তব্যগুলো দেখার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। প্রায় ছয় হাজার মন্তব্য পড়েছিল, কিন্তু সেখানে আট-দশটি মন্তব্য ছাড়া আর কোনো ইতিবাচক বা গঠনমূলক মন্তব্য খুঁজে পাইনি।
প্রায় ৯৯ শতাংশ মন্তব্যই ছিল নেতিবাচক। আর এই ৯৯ শতাংশ নেতিবাচক মন্তব্যে একটি বিষয় ফুটে ওঠেছে তারা কেন অনার্স পড়ছেন তারা নিজেরাই জানেন না। যাকে বলা যায়, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যহীন ও উদ্দেশ্যহীন গ্র্যাজুয়েশন বা পড়াশোনা।