প্রায় চার দিন স্থায়ী ওই অগ্নিকাণ্ডে নিভে গেছে ৫১ জনের প্রাণ। হাসপাতালের মর্গে এখনও পড়ে আছে মরদেহের ১০টি অংশ। শনাক্ত না হওয়ায় সেগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা যায়নি। একই ঘটনায় অঙ্গহানি হয়েছে অনেকেরই। সবমিলিয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও ডিপোতে কর্মরত দুই শতাধিকের বেশি শ্রমিক আহত হয়েছিলেন।
সীতাকুণ্ডের আলোচিত বিএম ডিপোর আগুনের ঘটনাটি চট্টগ্রামের স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ বলে ধরা হচ্ছে।
দেশজুড়ে আলোচিত ওই ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের হয়। তবে, মামলার কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি থানা পুলিশ। শেষে মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) স্থানান্তরিত হয়। সেখানেও মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। ঘটনার প্রায় সাত মাস পার হলেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ঠিক কবে নাগাদ তদন্ত কার্যক্রম শেষ হতে পারে, সেই প্রশ্নেরও উত্তর নেই তদন্ত কর্মকর্তার কাছে। শুধুমাত্র ‘তদন্ত চলমান আছে’ বলে কোনোমতে দায় সারছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফলে আলোচিত মামলাটি আদৌ আলোর মুখ দেখবে কি না— তা নিয়ে সংশয় আইনজীবী ও বিশিষ্টজনদের। তাদের মতে, যাদের অবহেলায় এত প্রাণ হারাল, অথচ মামলায় তাদের কাউকেই আসামি করা হয়নি। এতে শুরু থেকে গলদ তৈরি হয়েছে। আবার নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে পুলিশের ইচ্ছা আছে কি না— সেই প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে। কারণ, ঘটনার সাত মাস পার হলেও মামলাটির তদন্তে কোনো অগ্রগতি হয়নি। সবমিলিয়ে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার, না কি লোক দেখানো বিচার পাবে— সেই প্রশ্নও অনেকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।