বাংলাদেশে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি শুরু হয়েছিল, উচ্চ আদালতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার রায় ঘোষণার মাধ্যমে সেটা দূর হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, উচ্চ আদালতে বিচাপতি খায়রুল হক এবং বিচারপতি তোফাজ্জল সাহেব রায় দিয়েছিলেন বলেই আমরা সেই রায় কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছিলাম। আদালতে রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ধারাটা প্রবর্তন করা সম্ভব হয়েছিল।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের ৫৯তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ (সোমবার) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, আইনের শাসন আমরা নিশ্চিত করব। বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করব। কারণ, আমরাই ভুক্তভোগী। বিচার পাওয়ার অধিকার আমরা হারিয়েছিলাম। আমরা যখন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছিলাম সেখানে অনেক বাধা এসেছিল। সেই বাধা অতিক্রম করে সেই অর্ডিনেন্স বাতিল করে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের হত্যার বিচারের কাজ শুরু করি। বিচারের রায় যেদিন দেওয়ার কথা সেদিন বিএনপি-জামায়াত হরতাল ডেকে ছিল। যাতে জজ সাহেব কোর্টে যেতে না পারেন, রায় দিতে না পারেন। তাছাড়া তার ওপরে অনেক জুলুম অত্যাচার করা হয়েছিল। তিনি অত্যন্ত সাহসী একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি কোনো কিছু মানেননি। সেই রায় গোলাম রসুল সাহেব দিয়ে যান।