পার্ল হারবার থেকে ইউক্রেন

দেশ রূপান্তর প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৮:৫২

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে হঠাৎ পার্ল হারবারে আক্রমণ করে বসে জাপান। প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব খর্ব ওই হামলার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। হামলার পরদিন জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ঐতিহাসিক ওই ঘটনার সঙ্গে রাশিয়া ও ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের সাদৃশ্য পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চল্লিশের দশকের ওই ঘটনা বিশ্লেষণের পাশাপাশি সাদৃশ্যের দিক নিয়ে লিখেছেন তৃষা বড়ুয়া


হঠাৎ আক্রমণ


‘পার্ল হারবারে বিমান হামলা হয়েছে। এটি কোনো সামরিক প্রশিক্ষণ নয়।’ ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর সকালে এই জরুরি বার্তা হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের রাজধানী হনলুলু থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হয়। বার্তা প্রেরণকারীরা জানতেন, যারা এটি পড়বেন, হামলার ঘটনা তারা বিশ্বাস করবেন না, সামরিক প্রশিক্ষণের অংশ ভেবে উড়িয়ে দেবেন। এ কারণে হামলা হয়েছে লিখে তারা ক্ষান্ত হননি; প্রশিক্ষণ যে নয়, তা দাঁড়ির পর যুক্ত করা দরকার বলে মনে করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে অনেকে ধারণা করেছিলেন, জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াই বাঁধলেও বাঁধতে পারে। সেই তারা পর্যন্ত পার্ল হারবারে হামলার খবরে বিস্মিত হন। তারা ভাবেননি সত্যি সত্যিই টোকিও থেকে চার হাজার মাইল দূরে প্রশান্ত মহাসাগরের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে যুক্তরাষ্ট্রের নৌঘাঁটি পার্ল হারবারে বোমা মেরে বসবে জাপানিরা। মার্কিন নৌবাহিনীর তৎকালীন সেক্রেটারি ফ্র্যাঙ্ক নক্স তাই হামলার খবরে চিৎকার করে বলে ওঠেন, ‘হায় ঈশ্বর! এ সত্যি হতে পারে না!’ ৭ ডিসেম্বরের হামলায় দুই হাজার চারশোর বেশি মানুষ নিহত হন। আহত হন এক হাজার মার্কিনি। ধ্বংস হয় বহু সামরিক জাহাজ ও বিমান। যুক্তরাষ্ট্র পার্ল হারবারে হামলা আঁচ করতে না পারলেও জাপানের নেতারা কিন্তু কয়েক মাস ধরে আক্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন। তাদের লক্ষ্য ছিল, প্রশান্ত মহাসাগর যে আসলে জাপানই নিয়ন্ত্রণ করে, তা যুক্তরাষ্ট্রকে দেখিয়ে দেওয়া। পার্ল হারবারে হামলার পরদিন ৮ ডিসেম্বর জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এর তিন দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে জার্মানি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us