নারীর জীবনের আকাঙ্ক্ষিত অনুভূতির নাম মাতৃত্ব। প্রত্যেক নারী-পুরুষই সন্তানের মুখে মা-বাবা ডাক শুনতে চান। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমানে পরিবেশগত ও আচরণগত বিভিন্ন কারণে গর্ভধারণে ব্যর্থতার হার বেড়েই চলেছে। ফলে অনেক নারীই মাতৃত্বের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কখন বন্ধ্যত্ব
নিয়মিত শারীরিক মিলন সত্ত্বেও কোনো নারী এক বছর বা তার বেশি সময় ধরে গর্ভধারণে ব্যর্থ হলে চিকিৎসাবিদ্যায় সেটাকে বন্ধ্যত্ব
বলে ধরা হয়।
নারী-পুরুষ উভয়ের হতে পারে
এটি পরীক্ষালব্ধ স্বীকৃত যে বন্ধ্যত্বের জন্য নারী ও পুরুষ দুজনই সমানভাবে দায়ী। আবার বন্ধ্যত্বের কিছু কারণ রয়েছে অজানা।
গর্ভধারণে জটিলতা বা ব্যর্থতার কারণ
- পুরুষের ক্ষেত্রে স্পার্ম বা শুক্রাণুর উৎপাদন, সংখ্যা, গতি, আকার ইত্যাদি ব্যাহত হলে বা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে বন্ধ্যত্ব হতে পারে।
- নারীর ক্ষেত্রে ডিম্বাণু উৎপাদন-পরিস্ফুটন ব্যাহত হলে, জরায়ু বা ডিম্বাশয়ে কোনো ধরনের ত্রুটি বা টিউমার অথবা চকলেট সিস্ট থাকলে, ডিম্বনালি বন্ধ হয়ে গেলে বন্ধ্যত্ব হতে পারে।
বন্ধ্যত্বের কারণ
- নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই বেশি বয়স বন্ধ্যত্বের কারণ।
- অতিরিক্ত চা, কফি পান এবং ধূমপান, মদ্যপানেও বন্ধ্যত্ব হতে পারে।
- ওজন বেশি বা কম হলেও গর্ভধারণের জটিলতা তৈরি হতে পারে।
- অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস বন্ধ্যত্বের কারণ।
- প্রজননতন্ত্রের সংক্রমণ এবং যৌনবাহিত রোগ কিংবা হরমোনজনিত সমস্যায় গর্ভধারণ ব্যর্থ হতে পারে।
- পুরুষদের ভেরিকোসিল, ছোটবেলায় মাম্পস হলেও বন্ধ্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- প্রজনন অঙ্গে অস্ত্রোপচার হলে বা আঘাত পেলে, নারীদের পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম, এন্ডোমেট্রিওসিস, চকলেট সিস্ট, জরায়ু বা পুরুষাঙ্গের জন্মগত ত্রুটি এবং জরায়ুর টিউমারের কারণেও বন্ধ্যত্ব হয়।
- পরিবেশগত, যেমন কীটনাশক বা ভারী ধাতুর সংস্পর্শে এলেও গর্ভধারণে জটিলতা তৈরি হতে পারে।