রাজধানীর গুলিস্তানে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের পাশে ‘এন্ড বিরিয়ানি হাউস’–এর আনোয়ার হোসেন কথা বলেন দার্শনিকের মতো করে। এক যুগ ধরে গুলিস্তানের বিভিন্ন খাবারের হোটেলে কাজ করায় অনেক অভিজ্ঞতা তাঁর। পথের ওপর সাজিয়ে রাখা খাবারের সবই খোলা কেন জানতে চাইলে ভাবলেশহীনভাবে তিনি উত্তর দিলেন, মানুষ দেখতে পছন্দ করে তাই। গুলিস্তানের মতো জনবহুল জায়গায় বাসস্ট্যান্ডের আশপাশে কয়েকটি হোটেলে ঢুঁ দিয়ে দেখা গেল, সব জায়গার পরিস্থিতি প্রায় একই রকম। মানুষ দেখতে পছন্দ করে বলে দোকানের সামনে নানা পদের উজ্জ্বল রঙের সব খাবারই খোলা।
এসব খাবারের কাছ দিয়ে প্রতি মুহূর্তে চলাচল করছেন পথচারী। দুই হাত দূরের সড়কে কালো ধোঁয়া ছাড়িয়ে যাচ্ছে বাস ও মোটরসাইকেল। হাঁচি, কাশি ও শরীরের মৃত চামড়াসহ বাতাসে ভেসে যাওয়া কোনো কিছু থেকে নিস্তার নেই এসব খাবারের। ক্ষতি সম্পর্কে জানার পরেও পথের খাবার কেন খোলা থাকে, আর মানুষ কেন সেসব খাবারই খান তা জানতে প্রথম আলো কথা বলেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, রাজধানীর বিভিন্ন খাবারের দোকানের বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে। উঠে এসেছে এগুলো দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের নজরদারির ঘাটতি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের অসচেতনতা এবং হোটেলগুলোর সুযোগ নেওয়ার দৃশ্য।