অ্যাপল পণ্যে কোনো সমস্যা হলে সাধারণত সার্ভিস সেন্টার ছাড়া মেরামত করার সুযোগ নেই। অনেক সময় খুচরা যন্ত্রাংশ এবং দক্ষ কর্মীর অভাবেও আশপাশের কোনো সার্ভিস সেন্টারে পণ্যগুলো মেরামত করার সুযোগ থাকে না। এতে করে অ্যাপলের অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টারই ব্যবহারকারীদের জন্য হয়ে উঠে একমাত্র ভরসার জায়গা। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের গুণতে হয় বাড়তি টাকা। মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ কেনার পাশাপাশি মেরামতের খরচ হিসেবে ভালো পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয় গ্রাহকদের।
দ্য ভার্জের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ব্যবহারকারীদের মেরামত খরচ কমাতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, সুইডেন ও স্পেনে ‘সেলফ সার্ভিস রিপেয়ার’ কার্যক্রম চালু করেছে অ্যাপল। এর আগে, চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে এই সুবিধা চালু করেছিল অ্যাপল। শুরুতে এই ‘সেলফ সার্ভিস রিপেয়ার’ কার্যক্রমের আওতায় শুধুমাত্র অ্যাপলের আইফোন, আইপ্যাড এবং ম্যাকবুক থাকলেও এবার যুক্ত হয়েছে অ্যাপলের ম্যাক ডেস্কটপ কম্পিউটারও। তবে আপাতত শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরাই আইম্যাক, ম্যাক মিনি এবং ম্যাক স্টুডিওর যন্ত্রাংশ অ্যাপলের ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারবেন।
অ্যাপলের সেলফ সার্ভিস রিপেয়ার কার্যক্রমের আওতায় নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ কিনতে হবে। এগুলোর মাধ্যমে ১২ ও ১৩ সিরিজের আইফোন, ম্যাকবুক এবং ম্যাক ডেস্কটপ পিসি মেরামত করা যাবে। মেরামতের জন্য বিনামূল্যে নির্দেশিকাও দেবে অ্যাপল। এ ছাড়া, অ্যাপল পণ্য মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় টুলকিটও ভাড়া নেওয়া যাবে। ফলে যাদের ইলেকট্রনিকস যন্ত্র সম্বন্ধে ধারণা রয়েছে, তাঁরা সহজেই ঘরে বসে তাদের আইফোন কিংবা ম্যাকবুক এবং অ্যাপল পিসি মেরামত করতে পারবেন।
তবে এই ধরনের মেরামতে মেরামতকারীর প্রয়োজন যথেষ্ট দক্ষতা। এ ছাড়া, কিছু যন্ত্রাংশের দামও কিছু ক্ষেত্রে অনেক বেশি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, স্টুডিও ডিসপ্লের ক্ষেত্রে একজন ব্যবহারকারী যদি নিজেই প্যানেলটি পরিবর্তন করতে চান তবে তাকে গুণতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা। অ্যাপলের এই ন্যানো-টেক্সচার ডিসপ্লে পরিবর্তন করতে খরচ পড়বে ৯৬৭ ডলার ১২ সেন্ট। তবে ব্যবহারকারীর আসল ভাঙা স্ক্রিন ফেরত দেওয়ার পরে দাম কমে নেমে আসবে ৮৭৯ ডলার ১২ সেন্টে। এ ছাড়া টুলকিটের দাম পড়বে ৪৯ ডলার।