ঢাকা শহরে গত ২১ বছরে ফ্ল্যাটের দাম গড়ে ৫৩৯ শতাংশ বেড়েছে। দেশের আবাসন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া ঢাকার ১৭টি এলাকার দাম বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেড়েছে বারিধারা, গুলশান ও ধানমন্ডি এলাকার ফ্ল্যাটের দাম। তুলনামূলকভাবে কম বেড়েছে মালিবাগ, মণিপুরিপাড়া ও এলিফ্যান্ট রোড এলাকায়।
ফ্ল্যাটের এমন মূল্যবৃদ্ধির পেছনে মানুষের চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকা, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি, নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি এবং জমির আকাশছোঁয়া দামকে অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। ক্রমাগত ফ্ল্যাটের দাম বাড়ায় এই খাতে বিনিয়োগকে তুলনামূলকভাবে সুরক্ষিত বলছেন তাঁরা।
ঢাকা শহরে বাড়ির পরিবর্তে ফ্ল্যাট কেনার সংস্কৃতি চালু হয় মূলত আশির দশকে। মূলত ওই সময় থেকেই আবাসন ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট তৈরি করে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা শুরু করেন। এরপর গত কয়েক দশকে ঢাকার আবাসন চাহিদার বড় অংশই পূরণ করছেন তাঁরা।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঢাকার কাঠামো পরিকল্পনা (খসড়া) অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ঢাকার মোট আবাসন চাহিদার প্রায় ৪২ শতাংশের জোগান দিয়েছে বেসরকারি আবাসন ব্যবসায়ীরা। মাত্র ৭ শতাংশের জোগান দিয়েছে সরকারি খাত। এ ছাড়া বাকি ভবনগুলো ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছে। এমন অবস্থায় আবাসন ব্যবসার ক্ষেত্রও দিন দিন প্রসারিত হয়েছে। আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯১ সালে ১১টি প্রতিষ্ঠান মিলে সংগঠনটি গঠিত হয়। এখন এর সদস্যসংখ্যা এক হাজারের বেশি।