ভারতের দিল্লিতে প্রেমিকের হাতে খুন হওয়া শ্রদ্ধা ওয়াকারের ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি। এর মধ্যে দেশটির ঝাড়খন্ড রাজ্যে একইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। রাজ্যের সাহিবগঞ্জে ২২ বছর বয়সী এক আদিবাসী তরুণীকে খুন করে দেহ প্রায় ৫০ টুকরা করে শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়ানোর অভিযোগ উঠছে তারই স্বামীর বিরুদ্ধে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওই তরুণীর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
ঝাড়খণ্ড পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, নিহত ওই তরুণীর নাম রুবিকা পাহাদিন। তার স্বামীর নাম দিলদার আনসারি। তবে অভিযুক্তর দাবি, তিনি খুন করেননি। তার অনুপস্থিতির সুযোগে বাড়ির লোকজন রুবিকাকে খুন করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে দেহ টুকরা করেছে।
পুলিশ আরও জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় বোরিয়ো সাঁওতালি এলাকার একটি নির্মাণাধীন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পিছন থেকে একটা কাটা পা উদ্ধার করা হয়। এর সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে অভিযুক্তের বাড়ির কাছে বস্তাবন্দি অবস্থায় রুবিকার দেহের ১৮ টুকরো উদ্ধার করা হয়। বাকী টুকরাগুলোর খোঁজ চলছে স্নিফার ডগ দিয়ে। উদ্ধার হওয়া দেহের টুকরাগুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।