কোঁকড়া চুল দেখতে দারুণ সুন্দর। কিন্তু এই চুলের যত্ন নেওয়া বেশ কঠিন। কারণ কোঁকড়া চুল সহজেই উষ্কখুষ্ক হয়ে যায়। এ ধরনের চুলে জট পড়ার প্রবণতাও বেশি।
সঠিক যত্নের অভাবে কোঁকড়া চুল আরো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া অনেকেই সারা দিন এত ব্যস্ত থাকেন, চুলের যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠে না। তবে সহজ কয়েকটি উপায় জানলে কোঁকড়া চুলের যত্ন নিতে পারবেন সহজেই।
► কোঁকড়ানো চুলের ক্ষেত্রে ‘প্রি-শ্যাম্পু ট্রিটমেন্ট’ খুব জরুরি। চুলের গোড়া থেকে যে প্রাকৃতিক সিরাম নিঃসৃত হয়, তা কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে ডগা পর্যন্ত পৌঁছতে পারে না। ফলে চুলে রুক্ষ ভাব চলে আসে। এ ক্ষেত্রে শ্যাম্পু করার আগে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি কোনো মিশ্রণ বা তেল লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ কিংবা তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন।
► কোঁকড়া হলেও চুলের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত শ্যাম্পু নির্বাচন করতে হবে। সুগন্ধি, অ্যালকোহল, সালফেট, সিলিকন এবং প্যারাবেনের মতো রাসায়নিক নেই এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করাই ভালো। মাথার ত্বক খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে, যাতে চুলে ময়লা, ধুলাবালি, অতিরিক্ত তেল বা মৃত কোষ না জমে থাকে।
► কোঁকড়া চুল ধোয়ার সময় ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে। গরম পানি এড়িয়ে চলুন।
► কোঁকড়া চুল ব্রাশ করবেন না। শ্যাম্পু করার আগে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভালো করে চুল আঁচড়ে নিন। চুল ধোয়ার পর সিরাম ব্যবহার করতে ভুলবেন না। তাহলে আঙুল দিয়ে আলতোভাবে চুলের জট ছাড়াতে কোনো অসুবিধা হবে না। ভেজা চুল কখনোই চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবেন না। গোসলের পর চুল মোছার জন্য গামছা বা খসখসে তোয়ালে ব্যবহার করবেন না। মসৃণ তোয়ালে না থাকলে সুতি কাপড় দিয়েও চুল মুছে নিতে পারেন।