খাবারের তালিকা থেকে অস্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট বাদ দিলে স্বাস্থ্যের উন্নতি সহজেই হতে শুরু করবে। কিন্তু ব্যক্তিগত চাহিদার সাথে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের পরিমাণ নিয়ে তেমন কোনো ব্যাখ্যা নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা কিছু পরিমাণের কথা উল্লেখ করেছেন। সেই বিষয়ে চলুন জেনে নিই।
যা এড়িয়ে যাবেন:
সাদা চিনি
সাদা আটা-ময়দা
প্রসেসড বা প্যাকেটজাত খাবার
নুডুলস, পাস্তা
>>দিনে ১০০-১৫০ গ্রাম
যারা সুস্থ, সচল এবং ওজন ঠিক রাখতে চান, তাদের পরিমিতভাবে খাবার গ্রহণ করা উচিত আর দিনে ১০০-১৫০ প্রাম পরিমাণটা পরিমিতই বলা যেতে পারে। কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করেও ওজন হ্রাস করা সম্ভব। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য আপনাকে ক্যালোরি গ্রহণ এবং পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন এই কার্বোহাইড্রেটগুলো :
** সব ধরনের সবজি
** প্রতিদিন কয়েক টুকরা ফল
** অল্প পরিমাণে স্বাস্থ্যকর স্টার্চ। যেমন: আলু, মিষ্টি আলু, ভাত এবং ওটস।
>> দিনে ৫০-১০০ গ্রাম
এই পরিমাণটিও উপকারি হতে পারে ওজন কমানোর জন্য। আপনি যদি কার্বোহাইড্রেটের প্রতি আকৃষ্ট হয় তাহলে এই পরিমাণেও কার্বোহাইড্রেট খেতে পারেন।
এক্ষেত্রে তালিকায় রাখতে পারেন:
** প্রচুর শাকসবজি
** প্রতিদিন ২-৩ টুকরা ফল
** স্টার্চ জাতীয় কার্বোহাইড্রেট সামান্য পরিমাণে
>>প্রতিদিন ২০-৫০ গ্রাম
এমন কম পরিমানে কার্বোহাইড্রেট খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীরের বিপাকের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। আসলে যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান, যাদের বিপাকীয় সমস্যা আছে, স্থূলতা বা যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য এটি একটি সম্ভাব্য পরিমাণ হতে পারে। এই পরিমাণ খেলে ওজন সহজেই কমে যায়। প্রতিদিন ৫০ গ্রামের কম খেলে শরীর কিটোসিসে চলে যায়। ফলে মস্তিষ্কে শক্তি সরবরাহ কমে যায়। এটাও খেয়াল রাখতে হবে। তাই এতো কম পরিমাণে খাওয়ার আগে পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যে খাবারগুলো খেতে পারেন:
** প্রচুর পরিমাণে কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত সবজি খেতে হবে।
** ফল, বাদাম এবং কিছু বীজ যা থেকে কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়