শীতকালে ঠোঁট ফাটা একটা স্বাভাবিক ঘটনা। এ সময় ঠোঁটের ত্বক শুষ্ক থাকে। ফলে ঠোঁট ফাটতে দেখা যায়। শুষ্কতা রোধে অনেকে বারবার জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজান। কিন্তু এতে ফাটা বন্ধ হয় না; বরং আরও বাড়ে।
আমাদের ত্বকে থাকা সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে একধরনের তৈলাক্ত (মেদ) বা মোমের মতো রস ক্ষরিত হয়। একে বলে সিবাম। এটি ঘামের সঙ্গে মিশে ত্বকে ছড়িয়ে যায় এবং ত্বক মসৃণ ও আর্দ্র রাখে। ফলে ত্বক ফাটে না। কিন্তু শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ঘাম কম হয়। এ কারণে সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে বেরিয়ে আসা তেলতেলে পদার্থ শরীরের চামড়ায় ঠিকমতো ছড়িয়ে পড়তে পারে না। শরীরের শুকনো জায়গাগুলো তখন কুঁচকে গিয়ে ফেটে যায়।
শরীরের অন্য জায়গার তুলনায় ঠোঁটের চামড়া পাতলা। তা ছাড়া এর অবস্থান নাকের নিচে। ফলে নিশ্বাসের সঙ্গে বেরিয়ে আসা গরম বাতাস ঠোঁটকে আরও শুকিয়ে দেয়।